শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

শিল্প খাতের উন্নয়নে কাজ করবে এফবিসিসিআই-আইএলও

বিশেষ প্রতিনিধি

শিল্প খাতের উন্নয়নে কাজ করবে এফবিসিসিআই-আইএলও

দেশের ১০টি অগ্রাধিকারমূলক শিল্পে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে যৌথভাবে কাজ করবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআই এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও।

গতকাল  বিকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে এ-সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়। চুক্তির আওতায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ১০টি শিল্প খাতের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিধানে সাংগঠনিক পর্যায়ে (শিল্প খাতভিত্তিক মালিক সমিতি) এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানে সক্ষমতা তৈরি ও প্রচারণা কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এই প্রকল্পের সহায়তা দেবে আইএলওর আরএমজি প্রোগ্রাম ও অর্থায়ন করবে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস সরকার। এফবিসিসিআই জানিয়েছে, প্রকল্পের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল, রাসায়নিক, প্লাস্টিক, হালকা প্রকৌশল, চামড়া, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, আসবাব, প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং, স্থানীয় বাজারকেন্দ্রিক তৈরি পোশাক ও স্টিল রিরোলিং শিল্পের সেফটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ১৫টি সেফটি ইউনিট স্থাপন করা হবে। এ ছাড়াও ২ হাজার ৪০০ সেফটি প্রতিনিধি ও ১০০টি সেফটি কমিটির মাধ্যমে শিল্প মালিক ও কর্মীদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও পেশাগত স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা ও সক্ষমতা বাড়ানো হবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিআইনেন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাতগুলোর সেফটি সংস্কৃতি ও চর্চাকে উন্নত করার প্রক্রিয়ায় এফবিসিসিআইর সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আইএলও গর্বিত। আমরা আশা করছি, আমাদের যৌথ প্রচেষ্টা এ দেশের কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা, হতাহতের ঘটনা ও রোগপ্রতিরোধে সহায়তা করবে এবং এর ফলে অসংখ্য জীবন রক্ষা পাবে।

বাংলাদেশের শ্রম আইনে ৫০ অথবা এর বেশি কর্মী কাজ করে এমন বাংলাদেশি সব প্রতিষ্ঠানে সমান সংখ্যক মালিক ও কর্মী প্রতিনিধিদের নিয়ে সেফটি কমিটি গঠনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইএলও-এফবিসিসিআইর যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে ৯০০ সেফটি কমিটির সদস্যদের অগ্নি নিরাপত্তা, পেশাগত সেফটি ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সক্ষমতা বাড়ানো হবে। এর ফলে কমিটিগুলো তাদের কর্মক্ষেত্রের সেফটি ইস্যুগুলো আরও ভালোভাবে চিহ্নিত ও তদারকি করতে পারবে।

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কর্মীদের সেফটি বিধান করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। শক্তিশালী ও কার্যকর সেফটি ইউনিট, সেফটি কমিটি ও সেফটি প্রতিনিধি তৈরিতে আইএলওর কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতায় এফবিসিসিআই এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে উন্নত কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত হলে আমাদের কারখানা আরও নিরাপদ হবে, উৎপাদনশীলতাও বাড়বে। যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।’ চুক্তি সই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, পরিচালকবৃন্দ, এফবিসিসিআইর সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ।

বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সহায়তার ১ হাজার আরএমজি সেফটি কমিটিকে অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (ওএসএইচ), অগ্নি নিরাপত্তা ও কভিড-১৯ গাইডলাইন বিষয়ে সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে আইএলওর আরএমজি প্রোগ্রাম।

সর্বশেষ খবর