বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

উপবৃত্তি বিতরণে ডিজিটালাইজেশন নিশ্চিত করছে স্বচ্ছতা

উপবৃত্তির টাকা বিতরণে আমূল পরিবর্তন এনেছে নগদ। ফলে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা এখন যে কোনো জায়গা থেকে খুব সহজেই উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করতে পারেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে নানা রকম পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে উপবৃত্তি প্রদান অন্যতম। সরকারের এই উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রমকে সফল করতে সরাসরি ভূমিকা রাখছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ, যা ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে। দীর্ঘ সময় করোনা মহামারিতে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ছিল অনেক। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের আবার বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে সরকারের এই উপবৃত্তি কার্যক্রম। উপবৃত্তি প্রদান একসময় ঝামেলাপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল। এখানে আমূল পরিবর্তন এনেছে নগদ। ফলে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা এখন যে কোনো জায়গা থেকে খুব সহজেই উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করতে পারেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ২০২১ সালের বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারির (এপিএসসি) তথ্য মতে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমেছে ৩ শতাংশে, যা এখন ১৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার এই হার ২০২০ সালে ছিল ১৭ দশমিক ২০ শতাংশ।

উপবৃত্তির টাকা তোলার বিষয়ে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বাসিন্দা আসলাম মিয়া বলেন, আগে আমার মেয়ের উপবৃত্তির টাকা পেতে অনেক কষ্ট করতে হতো। এখন এই বৃত্তির টাকা সরাসরি আমাদের নগদ নম্বরে চলে আসে। ফলে আমাদের প্রয়োজনে যে কোনো সময় ও যে কোনো জায়গা থেকে উপবৃত্তির টাকা তুলতে পারি। সরকার প্রায় দীর্ঘ এক বছর পর প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ ভাতা নগদ-এর মাধ্যমে পুনরায় চালু করে সফলতা পেয়েছে। এতে ভোগান্তি কমেছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের। সরকারের তালিকা অনুযায়ী প্রায় দেড় কোটি শিশুর মায়ের মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে দিয়েছে ডাক বিভাগের নগদ। আর স্বল্প সময়ের মধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ওপরে বিতরণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে নগদ-এর সঙ্গে চুক্তি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। তিন পর্যায়ের তথ্য মিলিয়ে সঠিক ডেটাবেস তৈরি করার মধ্য দিয়ে বিতরণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা যেমন নিশ্চিত করেছে, তেমনি সরকারের খরচও এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে এনেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। নগদ-এর তথ্য মতে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে উপবৃত্তি বিতরণ প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি উপবৃত্তি বিতরণ করেছে সেবাটি। এর ফলে সরাসরি উপকৃত হয়েছে প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার। যার ফলে উল্লেখযোগ্য হারে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হারও কমেছে।

উপবৃত্তি বিতরণের বিষয়ে নগদ-এর চিফ বিজনেস অফিসার শেখ আমিনুর রহমান বলেন, ‘দেশের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় একটি বিপ্লবের নাম নগদ। এখন পর্যন্ত ৪ হাজার কোটি টাকার ওপর উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করেছে নগদ। অভিভাবকদের একটু সচেতন হতে হবে এবং কারও সঙ্গে তাদের ওয়ালেটের পিন নম্বর শেয়ার করা যাবে না। এ বিষয়ে সচেতন হলেই তারা ভোগান্তিতে পড়বেন না।’

সর্বশেষ খবর