বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
বৃহত্তর কুমিল্লা

৩৫০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

৩৫০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি

বৃহত্তর কুমিল্লার তিন জেলা কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২২ হাজার ২৭১ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে। এতে ১ লাখ ১১ হাজার ৩৩৫ মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মূল্য প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা। খাল পুনর্খননে জলাবদ্ধ পতিত ও এক ফসলি জমি এখন দুই-তিন ফসলি জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৩৪টি উপজেলায় পাঁচ বছরব্যাপী প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্প এলাকার মোট আয়তন ৬৬২ হাজার হেক্টর। সেখানে আবাদি জমির পরিমাণ ৪২৬ হাজার হেক্টর। প্রকল্পের শুরুতে সেচের আওতায় জমি ছিল ৩০০ হাজার হেক্টর, তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩১০ হাজার হেক্টর। বিভিন্ন আকারের সেচ অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে ফসলের মাঠের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, কৃষিপণ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি এবং গবাদিপশুসহ স্থানীয় জনসাধারণের পারাপারের সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর ‘আধুনিক সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধিতে কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প : প্রভাব, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। কুমিল্লার বিএডিসি সেচ কমপ্লেক্সের সেমিনার হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএডিসির চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, কুমিল্লা (ক্ষুদ্রসেচ) সার্কেল ও কুমিল্লা-চাঁদপুর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেছেন, কুমিল্লা- চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ২২ হাজার ২৭১ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে। এতে ১ লাখ ১১ হাজার ৩৩৫ মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তা আশাব্যঞ্জক।

সর্বশেষ খবর