সোমবার, ৬ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

মহাকাশে সংঘর্ষ থেকে বাঁচল নাসার স্যাটেলাইট

ইনফোটেক ডেস্ক

মহাকাশে সংঘর্ষ থেকে বাঁচল নাসার স্যাটেলাইট

বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল মঙ্গল গ্রহে! হতে পারত বড়সড় ‘রক্তপাত’!  থরথর করে কেঁপে উঠতে চলেছিল গোটা মঙ্গল গ্রহ! ঘোর অমঙ্গল ঘটতে চলেছিল এ ব্রহ্মাণ্ডে আমাদের প্রতিবেশী গ্রহ মঙ্গলের চাঁদ ‘ফোবস’-এর! চুরচুরিয়ে ভেঙে যেতে পারত নাসার মহাকাশযান ‘মাভেন’! অল্পের জন্য বেঁচে গেল পৃথিবীও, হঠাৎ করে তার চত্বরে ঢুকে পড়া এক অজানা, অচেনা ‘হানাদার’ গ্রহাণুর (অ্যাস্টারয়েড) আচমকা আঘাত থেকে! ১০ ফুট লম্বা ওই গ্রহাণুটির ঘরবাড়ি সম্পর্কে এখনো তেমন কিছুই জানা নেই বিজ্ঞানীদের। শুক্রবার গভীর রাতে মহাকাশের মঙ্গল গ্রহের ঘটনা। নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাত সেকেন্ডের এদিক ওদিক হলেই মঙ্গলের কক্ষপথে পাক মারা নাসার মহাকাশযান (অরবিটার স্যাটেলাইট) মাভেন (মার্স অ্যাটমস্ফিয়ার অ্যান্ড ভোলাটাইল এভোলিউশন)-এর সঙ্গে একেবারে মুখোমুখি ধাক্কা লাগত মঙ্গলের চাঁদ ‘ফোবস’-এর। তাতে নাসার মহাকাশযানটি চুরচুর করে ভেঙে যেত। আর তার টুকরোটাকরাগুলো মহাকাশে ভেসে বেড়াত লাখ লাখ, কোটি কোটি বছর ধরে। আর যে কারণে পাখির ধাক্কায় বিমানের ক্ষতি হয় বেশি, সেই একই কারণে অনেক অনেক বেশি ক্ষতি হতো মঙ্গলের চাঁদ ‘ফোবস’-এর। মঙ্গলের দিকে চোখ রেখে লাল গ্রহকে পাক মারার সময় আগে থেকে কেউ কাউকে দেখতে পায়নি। মঙ্গলকে পাক মারতে মারতে যে রুটে আসার কথা তার চাঁদের, সেই রুটেই আসছিল ‘ফোবস’। তার আবর্তনের গতিতেও ঘটেনি কোনো রদবদল। কিন্তু লাল গ্রহকে পাক মারতে মারতে অঙ্কের হিসাবে একটু হয়ে গিয়েছিল নাসার মহাকাশযান ‘মাভেনের’ কম্পিউটার আর পাসাডেনায় নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরির (জেপিএল) গ্রাউন্ড কন্ট্রোল রুমের অভ্যন্তরীণ ও রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেমে।

সর্বশেষ খবর