শনিবার, ১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

ব্রেন ড্রেনের শিকার হচ্ছেন স্মার্টফোন আসক্তরা!

ইনফোটেক ডেস্ক

ব্রেন ড্রেনের শিকার হচ্ছেন স্মার্টফোন আসক্তরা!

প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্ব আজ হাতের মুঠোয়। একটি বোতামে ক্লিক করে ঢাকায় বসেই আপনি দেখে নিতে পারেন সুদূর আফ্রিকার জঙ্গলের ছবি। ভিডিও কল করে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা আপনার প্রিয় মানুষটির সঙ্গে গল্প করতে পারেন। ফেসবুক বা হোয়াটস অ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় লাখ লাখ মানুষের কাছে। আর এসবই সম্ভব হবে, যদি একটি স্মার্টফোন থাকে। তাই নিজের স্মার্টফোনটি কাছ ছাড়া করতে চান না কেউ-ই।  কিন্তু সেই সাধের স্মার্টফোনটি মস্তিষ্কের কতখানি ক্ষতি করতে পারে, তা জানেন কি? সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, দীর্ঘক্ষণ যদি স্মার্টফোন  চোখের সামনে বা নাগালের মধ্যে থাকে, তাহলে আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। কমে যেতে পারে মনো সংযোগ করার ক্ষমতা, এমনকি কর্মদক্ষতাও। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্মার্টফোনের গুরুত্ব যে অপরিসীম, তা যেমন অস্বীকার করার উপায় নেই, তেমনি এই স্মার্টফোনের ক্ষতিকর দিকগুলোও কিন্তু কোনোভাবে অবহেলা করা উচিত নয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় স্মার্টফোনের তেমনই একটি ক্ষতিকর দিক সামনে এসেছে। জানা গেছে, স্মার্টফোনের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় একজন মানুষ কত ভালো কাজ করতে পারেন, তা নিয়ে একটি সমীক্ষা করেন একদল বিজ্ঞানী। প্রায় ৮০০ জনকে কম্পিউটারের সামনে বসিয়ে একটি পরীক্ষা নেন তারা। পরীক্ষা চলাকালীন কয়েকজন অংশগ্রহণকারীদের স্মার্টফোনটি ডেস্কের ওপর, পকেটে কিংবা ব্যাগে রাখতে বলা হয়। আর বাকিদের স্মার্টফোনগুলো অন্য একটি ঘরে রাখা হয়। তাতে দেখা গেছে, যাদের স্মার্টফোনটি পাশের ঘরে ছিল, তারাই কাজটি অনেক সুষ্ঠুভাবে করতে পেরেছেন।  বিজ্ঞানীরা বলছেন, আপনি হয়তো সচেতনভাবে স্মার্টফোন নিয়ে ভাবছেন না। কিন্তু কোথাও না কোথাও মাথার মধ্যে সেই ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। ফলে অন্য কোনো কিছুতে মনসংযোগ করতে পারছেন না। আর এই চিন্তাই অজান্তে আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতি করে দিচ্ছে। এটাকে বলা হয় ‘ব্রেন ড্রেন’। তাই স্মার্টফোনটি শুধু বন্ধ করে রাখলেই হবে না, সেটি নাগালের বাইরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, ফোনে বারবার নোটিফিকেশন আসছে বলে মনসংযোগের অভাব হচ্ছে, এমনটা কিন্তু নয়। বরং স্মার্টফোনটি হাতের নাগালে থাকার কারণেই মস্তিষ্কের একটা অংশ ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। তাই কাজটাও ঠিকমতো হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর