রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
আইটি বিশ্ব

বৈদ্যুতিক বিমান

ইনফো ডেস্ক

জ্বালানি হিসেবে বিমানে মূলত অ্যাভিয়েশন টার্বাইন ফুয়েল (এটিএফ) ব্যবহৃত হয়। সময়ের চাহিদা মেটাতে বিজ্ঞানীরা জেট ফুয়েলের পাশাপাশি বায়োফুয়েল কিংবা গ্যাস-টু-লিকুইডের (জিটিএল) মতো জ্বালানি নিয়েও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন।

এবার বিদ্যুিভত্তিক জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে বিশ্ব। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইড্রোজেন জ্বালানি ভবিষ্যতে বিমানের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে পারবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং জ্বালানির প্রাপ্যতা কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তেল-পরবর্তী সময়ে জ্বালানির প্রধান বিকল্প হিসেবে বিদ্যুৎ শক্তির কথা চিন্তা-ভাবনা করছেন।  তবে এটি বলা যতটা সহজ করাটা তার থেকে হাজার গুণ কঠিন। তবে এই কঠিন চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে এগিয়ে এসেছে বেশ কিছু বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকায় সবার আগে রয়েছে ইউরোপিয়ান বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস। বিদ্যুিনর্ভর বিমান জ্বালানি ব্যবস্থার লক্ষ্যে সিমেন্সের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে তারা। সিমেন্সের বিদ্যুিভত্তিক বিমান গবেষণা প্রোগ্রামও কিনেছে এয়ারবাস। ২০১৫ সালে ই-ফ্যান লাইট এয়ারক্রাফট ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করে এয়ারবাস।  এখন দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বিমানের জন্যও বিদ্যুৎ ভিত্তিক জ্বালানি ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে নতুন জ্বালানি নির্ভর জ্বালানির ক্ষেত্রে এয়ারবাসের সব থেকে বড় সাফল্য ‘ভাহানা’। দুটি প্রোপেলার এবং চারটি ইঞ্জিন থাকবে ভাহানায়। আর চলবে বিদ্যুৎ শক্তিতে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর