এবার হাফিজ সাইদকে জঙ্গি বলে মেনে নিল পাকিস্তান প্রশাসন। যদিও মুম্বাই হামলার মগজ হিসেবে চিহ্নিত করে সাইদকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে ইসলামাবাদকে বার বার অনুরোধ করেছিল ভারত। হামলার পরে ৯ বছর কেটে গেলেও পাকিস্তান তা মানেনি কখনও। কিছুদিন আগেও সাইদ হুমকে দেন, 'মুম্বাই হামলার মতো ঘটনা আরও ঘটানো হবে।' তবে এবার মার্কিন চাপে পাকিস্তানই বললো, 'হাফিজ সাইদ জেহাদের নামে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে'।
জানুয়ারিতে মার্কিন চাপেই চার সঙ্গীসহ হাফিজ সাইদকে ছ’মাসের জন্য গৃহবন্দি করেছিল নওয়াজ শরিফ সরকার। শনিবার জুডিশিয়াল রিভিউ বোর্ডের কাছে হাজির হয়ে হাফিজ সাইদ নালিশ করেছিলেন— কাশ্মীরিদের পক্ষে তিনি যাতে গলা চড়াতে না পারেন, তাই পাক প্রশাসন তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় তিন সদস্যের বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছে, ‘জেহাদের নামে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছেন হাফিজ সাইদ।’ সূত্রের খবর, তার পরেই চার সঙ্গীসহ আটক করা হয়েছে হাফিজকে। এর আগে তার অন্তরীণের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানোর জন্য লাহোর হাইকোর্টে আবেদন করেছিল অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়। তখনই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, হাফিজকে জুডিশিয়াল বোর্ডের কাছে হাজির হতে হবে।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে, সন্ত্রাস দমনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না পাকিস্তান। আমেরিকার এই ক্ষোভকে পাকিস্তান যে গুরুত্ব দিচ্ছে, তার কারণ মার্কিন সরকারকে দেওয়া শাসক দল রিপাবলিকান পার্টির এক থিঙ্ক ট্যাঙ্কের পরামর্শ— 'পাকিস্তানের মতো দেশ সন্ত্রাস দমনে হাত গুটিয়ে থাকলে মার্কিন সেনারাই দায়িত্ব নিয়ে সে কাজ করে আসুক।'
অ্যাবোটাবাদে ওসামা বিন লাদেনের গুপ্ত ডেরায় মার্কিন মেরিন অভিযানের কথা দিব্যি মনে আছে শরিফ প্রশাসনের। তাই বোধ হয় আর ঝুঁকি নিতে চায় না পাকিস্তান। আর এজন্যই সাইদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে বিশ্লেষকদের মত।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ