ইন্দোনেশিয়ার সেরাম দ্বীপে গত বুধবারে হঠাৎ বিরাট পাথরের মতো এক প্রাণীর দেহ পানির উপর ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। যে জায়গায় প্রাণীটিকে দেখা যায়, সেখানকার পানি ছিল টকটকে লাল। স্থানীয় আসরুল তুয়ানাকোটা নামে এক মৎসজীবী প্রথম দেখেন প্রাণীটিকে। তিনিই ডেকে বিষয়টা দেখান বাকিদের।
প্রাথমিক ভাবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, প্রাণীটি বিশালাকার একটি স্কুইড।
সম্প্রতি ওসন কনজারভেন্সি-র প্রধান বিজ্ঞানী জর্জ লিওনার্ড জানিয়েছেন, ৫০ ফুট লম্বা, ৪ মিটার চওড়া এবং ৩৫ টন ওজনের বিশাল প্রাণীটি আসলে একটি বেলিন তিমি। কোন কারণে গুরুতর জখম হয়েছিল সেটি। রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তার দেহ থেকে। ফলে রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল সমুদ্রের পানি। মৃত অবস্থায় তীরে ভেসে আসে সে। পচন ধরে যাওয়ায় তিমির দেহে বিকৃতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। পচে যাওয়া শরীর গ্যাসে ভরে গিয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সেরাম দ্বীপ সংলগ্ন অঞ্চল দিয়ে যাওয়ার সময় সম্ভবত অতিরিক্ত গরম পানির সংস্পর্শে এসে মৃত্যু হয়েছিল মূলত ঠান্ডা পানিতে থাকা বিশালাকায় তিমিটির। জাহাজে আঘাত লেগে মৃত্যুর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, তিমি মারা গেলে সাধারণত সমুদ্রের একেবারে নীচে চলে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে মৃত্যুর পর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে তিমিটির দেহে পচন গ্যাস জমা হয়েছিল। ফলে অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে গিয়েছিল সেটি। আর এই কারণেই পানির ওপর ভেসে ওঠে তিমিটির দেহ।