১৬ মে, ২০২১ ০৬:৫৩

উইঘুর স্বজনদের মুক্তির দাবি, কাজাখস্তানে আটক ৯ বিক্ষোভকারী

অনলাইন ডেস্ক

উইঘুর স্বজনদের মুক্তির দাবি, কাজাখস্তানে আটক ৯ বিক্ষোভকারী

চীন বহুকাল ধরেই জিনজিয়াং-এর উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিমদের ওপর ধর্মীয় নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি উইঘুরদের সমর্থন আদায়ে নানা ধরনের কৌশল নিচ্ছে তারা। উইঘুরদের বাধ্য করা হচ্ছে কমিউনিস্ট শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য। এদিকে উইঘুররা স্বজনদের ‍মুক্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করায় কাজাখস্তানে আটক করা হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। কাজাখস্তানের বৃহত্তম শহর আলমতিতে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্বজনদের মুক্তির দাবিতে গত ৯৩ দিন ধরে চীনা দূতাবাসের ওপর পিকেটিং চালিয়ে আসছে উইঘুররা। 

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দুইজন, বাইবোলাত কুনবোলাত এবং তুরসুনুল নুরাকাইকে ১১ মে এর পরে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কুনবোলাত জানান, চীনা দূতাবাসের সামনে নারী ও শিশু সবাই জড়ো হয়েছিল। দূতাবাস ছাড়াও চীনা ব্যাংক ও চীনা গ্যাস স্টেশনকে লক্ষ্য করে পিকেটিং চালানো হয়। এর পরেই তাদের আটক করা হয়। পরে পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।’ কুনবোলাত আরো বলেন, আমি কোনো প্রোটোকলে স্বাক্ষর করিনি এবং কোনো সাক্ষ্যও লিখে রাখি না। তারা আমাকে রাত ৯টার পরে যেতে দেয়, তবে পরদিন আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফিরে আসতে বলে।

উইঘুর জাতি মধ্য এশিয়ায় বসবাসরত তুর্কি বংশোদ্ভূত জাতিগোষ্ঠী। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, জিনজিয়াংয়ের ক্যাম্পগুলোয় বন্দি ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিম। তাদের জোরপূর্বক কম্যুনিস্ট মতার্দশে দীক্ষা দেয়া হচ্ছে। বাধ্যতামূলক শ্রমের পাশাপাশি রয়েছে ধর্ষণ, হত্যা, ধর্মীয়-বাক স্বাধীনতা হরণের মতো অভিযোগও। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সম্প্রতি বলেছেন, বিশ্বের প্রত্যেকটি অঞ্চল থেকে পাওয়া তথ্যে স্পষ্ট মানবাধিকার ভুল পথে যাচ্ছে। জিনজিয়াংয়ে শুধু উইঘুর মুসলিম নয় বরং সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর ওপর চালানো হচ্ছে নির্যাতন। এমনকি গণহত্যা চালাতেও পিছুপা হচ্ছে না চীন সরকার। বৈশ্বিক মানবাধিকার রক্ষায়, মার্কিন কূটনীতির সব কৌশল ব্যবহৃত হবে। দায়ীদের আনা হবে জবাবদিহিতার আওতায়।

বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর