ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহীদের প্রতিশোধমূলক অভিযানে জড়িত থাকার বিষয়ে মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করেছে তেহরান।
রবিবার রাতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন করার ইয়েমেনের সিদ্ধান্ত একটি স্বাধীন সিদ্ধান্ত, যার মূলে রয়েছে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসলামী জাতির মানবিকতা এবং সংহতি।
শীর্ষ ইরানি কূটনীতিক উল্লেখ করেছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনীই গাজার জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সরকারের চলমান গণহত্যার সমর্থনে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে।
ইয়েমেনি শহরগুলিতে অবকাঠামো এবং বেসামরিক এলাকাগুলিকে লক্ষ্য করে যুদ্ধাপরাধ করার জন্য আরাঘচি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করেছেন।
তিনি এই অভিযোগগুলোকে ফিলিস্তিনে ইহুদিবাদী সরকারের সংঘটিত অপরাধ থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার, কৌশলগত ব্যর্থতা ঢেকে রাখার এবং অঞ্চলের আরও অস্থিতিশীলতাকে ন্যায্যতা দেওয়ার লক্ষ্যে বিভ্রান্তিকর কৌশল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
শেষে, আরাঘচি ইয়েমেনের ওপর মার্কিন হামলাকে জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে নিন্দা করেছেন।
এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাইও ভিত্তিহীন অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
বাঘাই বলেছেন, ইয়েমেনি জাতির সাহসী পদক্ষেপের জন্য ইরানকে দায়ী করা এই শক্তিশালী কিন্তু নির্যাতিত জাতির প্রতি অপমান।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করার ইয়েমেনি জনগণের সিদ্ধান্ত একটি স্বাধীন সিদ্ধান্ত।
তিনি দিয়ে বলেন, মার্কিন সেনাবাহিনীই গাজায় ইহুদিবাদী সরকারের গণহত্যার সমর্থনে ইয়েমেনের জনগণ এবং বেসামরিক অবকাঠামোতে আক্রমণ করে যুদ্ধাপরাধ করছে।
সূত্র: প্রেস টিভি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল