পেরুর একটি গুরুত্বপূর্ণ সোনার খনি থেকে অপহৃত ১৩ নিরাপত্তারক্ষীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
‘লা পোদেরোসা’ নামের খনি কোম্পানি জানায়, রবিবার একটি উদ্ধারকারী দল খনি এলাকা থেকে নিহত কর্মীদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রতিষ্ঠানটি অভিযোগ করেছে, এই নৃশংস অপহরণের পেছনে রয়েছে অবৈধ খনি কার্যক্রমে জড়িত অপরাধী চক্র, যারা গত ২৬ এপ্রিল সশস্ত্রভাবে খনিটিতে হামলা চালায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে বিশেষ পুলিশ ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের পরিচয় বা হামলার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
খনি পরিচালনাকারী লা পোদেরোসা কোম্পানি জানিয়েছে, পেরুর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রত্যন্ত পাটাস অঞ্চলে ১৯৮০ সাল থেকে তারা খনি পরিচালনা করছে এবং এ পর্যন্ত সন্ত্রাসী হামলায় তাদের ৩৯ জন কর্মী নিহত হয়েছেন। মাত্র কয়েক মাস আগেই ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, একই খনিতে অবৈধ খনি শ্রমিকদের চালানো বিস্ফোরণে ৯ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হন।
ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করলেও অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ থেমে থাকেনি। বিশ্বের অন্যতম সোনা ও তামা রপ্তানিকারক দেশ পেরুতে অনানুষ্ঠানিক খনি শ্রমিকদের কিছু আইনি সুরক্ষা দেওয়া হয়, যদি তারা বৈধতা পাওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকে।
তবে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ খনিচক্রগুলো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ধাতব পণ্যের উচ্চ মূল্য, আধুনিক খনন প্রযুক্তি এবং সরকারের দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা তাদের দৌরাত্ম্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সম্প্রতি সারা দেশজুড়ে অপরাধের বাড়বাড়ন্তে পেরু সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। বিশেষ করে দেশের উত্তরের খনি এলাকাগুলোতে ক্ষুদ্র খনি উদ্যোক্তা ও শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। সূত্র: এপি
বিডি প্রতিদিন/নাজিম