এই মুহূর্তে ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের জরুরি বৈঠকের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
তিনি বলেছেন, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একটি জরুরি বৈঠক কল্পিতভাবে বলতে গেলে সম্ভব, তবে এই মুহূর্তে এর কোনও প্রয়োজন নেই।”
রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস। তাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পেসকভ জোর দিয়ে আরও বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিষ্পত্তির জন্য এখনই কঠোর পরিশ্রম করা প্রয়োজন।
এছাড়া ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন পেসকভ। তাসকে তিনি বলেন, “আমরা ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো তার দেশের প্রতি মার্কিন হুমকির পটভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার এবং বিমান সরবরাহের জন্য রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে একটি অনুরোধ পাঠিয়েছেন।”
এর আগে মার্কিন প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর প্রচারিত হয়। তবে পরবর্তীতে ট্রাম্প বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং ভেনেজুয়েলায় হামলার কথা ভাবছেন না বলে জানান।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প ৭ অক্টোবর ভেনেজুয়েলার সাথে কূটনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছানোর সমস্ত প্রচেষ্টা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এছাড়া ১৫ অক্টোবর ট্রাম্প নিজেই প্রকাশ্যে বলেন যে, তিনি সিআইএকে ভেনেজুয়েলায় ধ্বংসাত্মক অভিযান শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন।
বিশেষ করে ক্যারিবীয় সাগরে জাহাজের মাধ্যমে মাদক সরবরাহ এবং যুক্তরাষ্ট্রে চোরাচালানের অভিযোগ আনা হয় ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে। এরই ধারাবাহিকতায় উত্তেজনার মধ্যে ক্যারিবীয় সাগরে ১০বারেরও বেশি হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে নিহত হন ৪০ জনেরও বেশি মানুষ।
এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও চীনের দিকে অস্ত্র সহায়তার জন্য ঝুঁকছে ভেনেজুয়েলা। গত ২১ অক্টোবর রাশিয়ান স্টেট ডুমা রাশিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মধ্যে অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতা চুক্তির অনুমোদনও হয়েছে।
রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, ভেনেজুয়েলার উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে অভূতপূর্ব জোরপূর্বক চাপ প্রয়োগ করছে, তার প্রেক্ষিতে এই অনুমোদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র: তাস
বিডি প্রতিদিন/একেএ