পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি)।
মঙ্গলবার রাজধানীর জি-১১ এলাকায় ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যে শহরে প্রথমবারের মতো এ ধরনের হামলায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পালাতে শুরু করে।
পাকিস্তানি তালেবান বলেছে, পাকিস্তানে অনইসলামিক আইনের অধীনে রায় কার্যকরকারী বিচারক, আইনজীবী এবং কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে ইসলামি আইন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আরও হামলারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি বলেন, হামলাকারী একটি পুলিশের গাড়ির কাছে বিস্ফোরণ ঘটালে ১২ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইনজীবী মোহাম্মদ শাহজাদ বাট বলেন, এটা ছিল একটি ‘বিশাল বিস্ফোরণ’। তিনি বলেন, আতঙ্কে সবাই ভেতরে দৌড়াতে শুরু করে। আমি সদর গেটে কমপক্ষে পাঁচটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি।
এক সাংবাদিক আধাসামরিক বাহিনীকে হামলার স্থানটি ঘিরে রাখতে দেখেছেন যেখানে বেশ কয়েকটি সরকারি অফিসও রয়েছে। আরেক আইনজীবী রুস্তম মালিক বলেন, তিনি কমপ্লেক্সে প্রবেশের সময় গেটে একটি বিকট শব্দ শুনতে পান।
তিনি বলেন, সেখানে খুব বিশৃঙ্খলা ছিল। আইনজীবী এবং স্থানীয় লোকজন কমপ্লেক্সের ভেতরে দৌড়াদৌড়ি করছিল। আমি গেটে দুটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি এবং বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লেগেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এর আগে টিটিপি এবং দেশের বেলুচিস্তান অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দোষারোপ করেছিলেন। এসব সংগঠন বেশিরভাগ সময়ই নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসলামাবাদ মূলত বড় ধরণের জঙ্গি সহিংসতা থেকে মুক্ত ছিল। সেখানে সর্বশেষ আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/একেএ