অর্থনৈতিক বার্তা ছড়িয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সফর বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
এক সপ্তাহ আগে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জীবনযাত্রার ব্যয়ের সম্পর্কিত বিষয়গুলো মুখ্য হয়ে ওঠায়, ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি বড়সড় ধাক্কা খায়। ওই কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ট্রাম্পের দেশীয় সফর ‘ক্রমেই বাড়তে থাকবে।’
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রশাসন আরও সফর ও বক্তৃতার পরিকল্পনা করছে, যাতে অর্থনৈতিক ইস্যুতে প্রেসিডেন্টের অবস্থান স্পষ্ট হয়।
অর্থনৈতিক বিষয়ে দলের ডানপন্থী অংশের চাপও বাড়ছে। বিদেশ সফর ও শান্তি-আলোচনার বদলে ‘ঘরোয়া বিষয়ে’ বেশি সময় দিতে ট্রাম্পকে চাপ দিচ্ছেন প্রভাবশালী নেতা মার্জোরি টেইলর গ্রিনসহ আরো অনেকে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কুশ দেসাই এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রধান লক্ষ্য ছিল জো বাইডেনের মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় সামলানো।’
তিনি আরও জানান, ট্রাম্প ‘একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন করছেন। এর মাধ্যমে গ্যাস ও ডিমের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ওজন কমানোর কিছু ওষুধের মূল্য হ্রাসের চুক্তির কথাও তিনি উল্লেখ করেন। জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে দুর্বল অবস্থানে আছেন-এমন ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন ৭৯ বছর বয়সি ট্রাম্প।
যদিও নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয় এবং নিউইয়র্কে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী জোহরান মামদানির মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এ প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে।
গত বুধবার দীর্ঘতম সরকারি অচলাবস্থা শেষ করতে বিল স্বাক্ষরের সময় ট্রাম্প বলেন, ‘দেশ কখনো এত ভালো অবস্থায় ছিল না।’
তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং একাধিক পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তার এই পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদেশি পণ্যে আরোপিত শুল্ক থেকে অর্থ সংগ্রহ করে, মার্কিন নাগরিকদের জন্য সম্ভাব্য ২ হাজার ডলারের লভ্যাংশ দেওয়ার প্রস্তাব।
কোভিড মহামারির পর থেকে মুদ্রাস্ফীতি মার্কিন প্রেসিডেন্টদের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাইডেনও দেশজুড়ে সফর করেছিলেন। তবে তার অর্থনৈতিক পদক্ষেপে জনগণকে সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ হন।
সূত্র : এএফপি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত