মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে পেরেজের গোপন মিটিং

মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে পেরেজের গোপন মিটিং

আবুধাবিতে দুই সপ্তাহ আগে ২৯টি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদদের এক সমাবেশে গোপনে ভাষণ দিয়েছেন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ। ইসরাইলি দৈনিক ‘ইয়েদিয়োথ অহরোনোথ’ সোমবার এই খবর দিয়েছে বলে জানা যায়।

মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের এবং বিশেষ করে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল ও আরব লিগভুক্ত ২৯টি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক সমাবেশে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন পেরেজ। সৌদি রাজা আবদুল্লাহর ছেলেও ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

মুসলমানদের প্রথম কিবলার শহর বায়তুল মোকাদ্দাস বা জেরুজালেমে নিজ দপ্তর থেকে বক্তব্য রাখেন পেরেজ। তার পেছনে ছিল ইসরাইলের পতাকা। পেরেজের সামনে মুখোমুখি বসে ছিলেন জাতিসংঘের উপমহাসচিব টি. লারসেন ও ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি আলোচনার বিষয়ে বিশেষ মার্কিন দূত মার্টিন ইন্ডিক। লার্সেন পেরেজকে নানা প্রশ্ন করেন এবং পেরেজ সেসব প্রশ্নের জবাব দেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পক্ষ থেকে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট পেরেজকে প্রশ্ন করার বা তার উদ্দেশে কথা বলার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

আরব লিগের সব পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং  বিশেষ করে, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, ইয়েমেন ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বলে ইসরাইলি দৈনিকটি জানিয়েছে। এ ছাড়াও সেখানে ছিলেন বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আরো কয়েকটি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এই গোপন বৈঠকের আয়োজক-সংঘটকদের আগেই এ শর্তও দেয়া হয়েছিল যে পেরেজের বক্তব্য ফাঁস বা প্রকাশ করা হবে না এবং কেবল এ শর্তেই তিনি এই গোপন সভায় বক্তব্য রাখবেন।

দৈনিকটি আরো জানিয়েছে, বৈঠকের আয়োজক ছিল আরব আমিরাত এবং ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট পেরেজকে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এমন একটি সময়ে অভিন্ন শত্রু  ইরানের মোকাবেলায় ইসরাইলের সঙ্গে  সুসম্পর্কের বা বন্ধুত্বের গুরুত্ব তুলে ধরা হল।

মুসলমানদের প্রথম কেবলা দখল করে রাখা ইহুদিবাদী নেতারা যখন অবৈধ ইহুদি বসতি জোরদারের মাধ্যমে ফিলিস্তিনে জবর দখল পাকাপোক্ত করাসহ নানা ধরনের নৃশংস হামলা আর আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে তখন একটি ইসলামী দেশের অগ্রগতি ঠেকানোর জন্য মুসলমান, খ্রিস্ট ও ইহুদি ধর্মসহ সব ঐশী ধর্ম এবং মানবতার জাত শত্রু  ইহুদিবাদীদের সঙ্গে কথিত মুসলিম সরকারি কর্মকর্তাদের এই বৈঠকের খবর অপ্রত্যাশিত হলেও নজিরবিহীন ঘটনা নয় বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন।

সর্বশেষ খবর