জাভা সাগরে দুর্ঘটনায় পড়া এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১ বিমানটির লেজ [পেছনের অংশ] সাগরের উপরিভাগে তুলে আনা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণকারী ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর সদস্যরা আজ এটিকে সমুদ্রপৃষ্ঠে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। এক্ষেত্রে তারা বিশেষ একটি যন্ত্র [ইনফ্ল্যাটাবল ডিভাইস] ব্যবহার করেছে। খবর বিবিসির
উদ্ধারকারীরা বিমানটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্ল্যাক বক্স'র খোঁজেও অনুসন্ধান চালাচ্ছে। বিমানটির লেজের অংশ থেকে এটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিমানটির দুর্ঘটনার দু' সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ১৬২ জন আরোহীর মধ্যে মাত্র ৪৮ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের দেহাবশেষ বিমানটির মূল বডির [ফিউসালাজ] ভেতরে এখনো অাটকে আছে বলে অনুসন্ধানকারীরা মনে করছেন। তবে বিমানটির ফিউসালাজ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, জাভা সাগরের তলদেশের যেখান থেকে লেজটির সন্ধান পাওয়া যায় তার নিকটবর্তী আরেক জায়গা থেকে গতকাল বিশেষ সঙ্কেত অাঁচ করেছে উদ্ধারকারীরা। সঙ্কেতটি বিমানটির ব্ল্যাক বক্স থেকে আসছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। সঙ্কেতটি এয়ার এশিয়ার বিমানটির কিনা তা সনাক্ত করতে আজ ডুবুরিরা সাগরের তলদেশে নেমেছে।উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবাইয়ার জুয়ানদা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ৪৫ মিনিট পরই বিমানটি জাভা সাগরের উপরে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। ৭ জন ক্রুসহ বিমানটিতে তখন ১৬২ জন আরোহী ছিল। যাত্রীদের মধ্যে ১৪৯ জনই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ জানুয়ারি ২০১৫/শরীফ