শনিবার, ১০ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

দিল্লির সভা থেকে কেজরিওয়ালকে আক্রমণ মোদির

দিল্লির সভা থেকে কেজরিওয়ালকে আক্রমণ মোদির

ভারতের রাজধানী দিল্লির বিধানসভা ভোটের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু ইতোমধ্যেই জোরদার প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। শনিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভা থেকে দিল্লির বিগত সরকার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমী পার্টি (আপ)-কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি।

নাম না করে আপ-কে লক্ষ্য করে এদিন মোদি বলেন, "অরাজকতা নয়, আমরা চাই উন্নয়ন। দিল্লিতে কেউ কেউ আছেন যারা ধর্ণায় বসার ক্ষেত্রে খুব পারদর্শী, কিন্তু আমরা ভাল সরকার চালানোর ক্ষেত্রে পারদর্শী"। দিল্লির তিন পুলিশ কর্মকর্তার বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে গত বছরের জানুয়ারি মাসেই দিল্লির রেল মন্ত্রণালয়ের সামনে দশ দিনব্যাপী ধর্ণায় বসেছিলেন দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিয়াল। সেসময়ই নিজেকে অরাজকতা সৃষ্টিকারী বলে বর্ণনা করেছিলেন কেজরিওয়াল। শীতের রাতে সেসময় ফুটপাতেই চাদর মুড়ি দিয়ে রাত কাটিয়েছিলেন কেজরিওয়ালসহ দলের অন্যান্য নেতারা।

জনসভায় উপস্থিত কয়েকহাজার মানুষকে উদ্দেশ্য করে মোদি বলেন, "যারা আপনাদের ছেড়ে গিয়েছে, যারা আপনাদের পরিত্যাগ করেছে তাদের শাস্তি দিন। মিথ্যেবাদীদের ভরসা করবেন না। যারা মিথ্যেবাদী তাদের জনগণই পরাজিত করবে। যারা ফুটপাতে ঘুমোতে চায়, বিক্ষোভ করতে চায় তাদের সেই কাজটাই করতে দিন। যারা অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় তাদের হয় জঙ্গলে থাকা উচিত না হয় মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত। আমরা (বিজেপি) সরকার চালনায় দ¶ এবং তাই সঠিক মানুষের জন্য সঠিক কাজ বাছাটাই প্রয়োজন।" ভারতে বিজেপির জয়যাত্রা শুরু হয়েছে এবার দিল্লিতে বিজেপিকে জেতানোর পালা। দিল্লির জন্য স্থায়ী সরকার হিসেবে বিজেপিকেই বেছে নেওয়ার আবেদন জানান মোদি।

এদিন রামলীলা ময়দানে মোদি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস।

উল্লেখ্য, দল হিসেবে গঠনের পর মাত্র ১১ মাস বয়সেই দিল্লির ক্ষমতায় আসে আম আদমি পার্টি। গত বছরের ২৮ জানুয়ারি দিল্লির নবম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আপ প্রধান কেজরিওয়াল। মাত্র ৪৯ দিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে থাকেন তিনি। এরপরই গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভায় বিজেপি এবং কংগ্রেসের বিরোধিতা জনলোকপাল বিল পেশ না হওয়া পরই ওইদিন রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অরবিন্দ কেজরিয়াল। এরপরই দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। সূত্রে খবর, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন হতে পারে।
 

 

বিডি-প্রতিদিন/ ১০ জানুয়ারি, ২০১৫/ রশিদা

সর্বশেষ খবর