আফ্রিকা ও এশিয়ায় জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে ২০০ কোটিরও বেশি মানুষ। ল্যানচেট ইনফেকশন ডিজিজেস পত্রিকায় বিজ্ঞানীরা এমনটাই জানিয়েছেন। ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং নাইজেরিয়ার মানুষ এই ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। লন্ডনের স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টোর গবেষকদের নিয়ে গঠিত দলটি বলছে, বিপুল সংখ্যক মানুষ এমন পরিবেশে বসবাস করেন, যেখানে তা প্রতিরোধ করা, শনাক্ত করা এবং চিকিৎসা করা বেশ কঠিন। গবেষকরা বলছেন, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ সীমিত স্বাস্থ্যসম্পদ বা সেবার কারণে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ২০১৫ সালে ব্রাজিলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু অপুষ্ট মাথা নিয়ে জন্ম নেয় অর্থাৎ মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত হওয়ার জন্য এই ভাইরাস দায়ী বলে মনে করেন চিকিৎসক ও গবেষকরা। হালকা জ্বর, চোখ লাল হওয়া, মাথা ব্যথা, হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা এবং চামড়ায় লাল লাল ফুসকুড়ি হচ্ছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। এখন পর্যন্ত জিকা ভাইরাসের কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। বিবিসি।