কাশ্মীরে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নিজের অবস্থান শক্ত করতে সেখানকার রাজ্য সরকারের মাধ্যমে তরুণদের কাছে টানতে কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। সেই সঙ্গে কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরত সংগঠনগুলোর জোট হুরিয়াত কনফারেন্সের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। হুরিয়াতের দুই নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুক এবং ইয়াসিন মালিক বর্তমানে কারাবন্দী রয়েছেন। অপর নেতা গিলানিকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি কাশ্মীর সফর করেছে ভারতের সবর্দলীয় প্রতিনিধি দল। এই সফর শেষে প্রতিনিধি দলের নেতারা দিল্লিতে বৈঠকে বসেন। সেখানে জাতীয় সংহতি ও সুরক্ষার প্রশ্নে কোনো আপস না করে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নেতারা। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও হুরিয়াতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অস্বীকার করায় মোদি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘হুরিয়ত শান্তি চায় না।’ এরপর এক বিবৃতিতে হুরিয়ত জানিয়েছে, ‘নিজেদের ক্ষতি স্বীকার করে কাশ্মীরের মানুষ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের মুখোশ খুলে দিচ্ছে। আর নয়াদিল্লি চাইছে দেশের মানুষকে বোকা বানাতে। হুরিয়াতের দিকে আঙ্গুল তুলে কাশ্মীরের আসল সমস্যা থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতে চাইছে।’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, হুরিয়াত নেতাদের সরকারি যে সাহায্য করা হয়, তা বন্ধ করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে গৃহবন্দী থাকলেও চিকিৎসা, অর্থ, বিদেশ ভ্রমণ বা নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে হুরিয়ত নেতাদের সরকারি সাহায্য দেয় নয়াদিল্লি। কিছু ক্ষেত্রে তা কমিয়ে দেওয়া আবার কোনো ক্ষেত্রে এসব একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির এ কথা জানিয়েছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আনন্দবাজার।