বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাস (এইচএফসি) নিঃসরণ রুখতে ঐতিহাসিক একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের প্রায় ২০০ দেশ। গতকাল আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে চুক্তিতে সমর্থন দেন। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ সীমিত রাখার প্রস্তাবে সম্মত হওয়া ঐতিহাসিক একটি বিষয়। কারণ জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন ও উষ্ণতা বৃদ্ধি থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে এইচএফসির নিঃসরণ অবশ্যই কমাতে হবে। হাইড্রোজেন, ফ্লুরিন ও কার্বন মৌলের বিক্রিয়ায় সৃষ্ট হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (এইচএফসি) গ্যাসগুলোই গ্রিনহাউস গ্যাস নামে পরিচিত। পৃথিবীর উপরিভাগে এ গ্যাসের স্তর বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। সাধারণত ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশনার (এসি) অ্যারোসলসহ বিভিন্ন পণ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস ব্যবহার হয়। রুয়ান্ডার প্রাকৃতিক সম্পদমন্ত্রী ভিনসেন্ট বইরুতা বলেন, বিশ্বের প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধি আলোচনা করে চুক্তিতে সম্মত হন। রুয়ান্ডায় উপস্থিত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি মন্ট্রিল প্রটোকলের ভিত্তিতে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর কর্ম পরিকল্পনায় একমত হন। গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর চুক্তিতে বড় অবদান রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। রুয়ান্ডায় চুক্তি নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও করেন তিনি। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৯ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলো তাদের গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ১০ শতাংশ কমাবে। ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক ও উপসাগরীয় দেশগুলো গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ২০২৮ সাল পর্যন্ত কমাবে না। চীন গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো শুরু করবে ২০২৯ সালে। আর ২০৩২ সালে ভারত গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাবে ১০ শতাংশ। বিবিসি।
