শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

ট্রাম্প প্রশাসনে কারা থাকছেন

ট্রাম্প প্রশাসনে কারা থাকছেন

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন সরকারে অন্তত চার হাজার শূন্য পদে নিয়োগ দিতে হবে। ট্রাম্প তার প্রশাসনে কাকে কোন পদে রাখছেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। নির্বাচনী প্রচারে রিপাবলিকান পার্টির প্রভাবশালী সদস্যরা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর এখন তাদের প্রতি ‘পাল্টা এক হাত’ নেবেন ট্রাম্প, এমনটাই ধারণা করছে  দেশটির গণমাধ্যমগুলো। তাদের ভাষ্য, প্রচারের পুরো সময় ধরে বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ ছিলেন এমন ব্যক্তিদের মার্কিন প্রশাসন ও হোয়াইট হাউসের শীর্ষপদে আনছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মাইকেল ফ্লিনকে নতুন প্রশাসনে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান ফ্লিন, ট্রাম্পেও বেশিরভাগ প্রচার সমাবেশে প্রথম বক্তা ছিলেন। পররাষ্ট্রনীতি বিষয়েও ট্রাম্প তার ওপর অনেকখানি নির্ভর করেন বলে ওই সূত্র জানিয়েছে। কংগ্রেসে ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত আলাবামার রিপাবলিকান সিনেটর  জেফ সেশনসকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে বলে বুধবার ‘দায়িত্বের পালাবাদল’ সংক্রান্ত এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে গণমাধ্যম। ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের ম্যানেজার ক্যালিয়ানে কনওয়েকে করা হতে পারে ট্রাম্পেও জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা। যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের সাবেক স্পিকার নিউট গিংরিচকে চিফ অব স্টাফ পদে দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করছে সিএনএন। একই পদে দেখা যেতে পারে নিউ জার্সির গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি, নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র রুডি জুলিয়ানি কিংবা রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির (আরএনসি) চেয়ারম্যান রিয়েন্স প্রাইবাসকেও। আরএনসির  জ্যেষ্ঠ কৌশলবিদ শন স্পাইসারকে দেখা যেতে পারে  হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র (প্রেস সেক্রেটারি) পদে। অবসরপ্রাপ্ত নিউরো সার্জন বেন কার্সনকে দেখা যেতে পারে শিক্ষামন্ত্রী বা স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রী পদে। রিপাবলিকান দলের ‘কৌশলবিদ’ হিসেবে খ্যাত গিংরিচ কিংবা সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ার বব  কোর্কারকেও এই পদে দেখা যেতে পারে বলে ধারণা রয়টার্সের। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ টেনেসির রিপাবলিকান সিনেটর  কোর্কার ও গিংরিচ দুজনকেই নির্বাচনী প্রচারের শুরুতে ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। যদিও ওই পদে ইন্ডিয়ানার গভর্নর মাইক পেন্সকেই পছন্দ করেছেন ট্রাম্প। জেসন মিলারকে দেখা যেতে পারে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হিসেবেও।  ট্রাম্প উপদেষ্টা করে নিতে পারেন তার প্রচার শিবিরের প্রধান নির্বাহী স্টিফেন ব্যানন, আরএনসির চেয়ারম্যান রিয়েন্স প্রাইবাস, প্রচার শিবিরের সহকারী ব্যবস্থাপক ডেভিড বসিকেও। গুরুত্বপূর্ণ অর্থমন্ত্রী পদে ট্রাম্প ব্যবসায়ীদের বসাতে পারেন বলে ধারণা করছে সিএনএন। এক্ষেত্রে তার পছন্দের তালিকায় আছে আইকান এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ ধনী কার্ল আইকান। এ পদে দেখা মিলতে পারে ডুন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী ও কো-চেয়ারম্যান স্টিভেন ম্নুচেনকেও। রুডি জুলিয়ানি হতে পারেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা সিআইএ-র পরিচালক। তাকে দেখা যেতে পারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি) হিসেবেও। সিনেটর সেশনসকে দেখা যেতে পারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদেও।

মন্ত্রিসভায় পলিন! : যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন সরকারে কারা থাকছেন, এ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। সরকার গঠনের পর গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে ঘনিষ্ঠজনদের ট্রাম্প প্রাধান্য দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রাম্পের প্রচারণা দলের কয়েকজন উপদেষ্টা বুধবার জানিয়েছিলেন, নতুন কেবিনেট ও হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর জন্য পছন্দের প্রার্থী বাছাই শুরু করেছেন। জানা গেছে, ট্রাম্পের সম্ভাব্য মন্ত্রিসভায় শীর্ষ প্রতিযোগীদের মধ্যে রয়েছেন আলাস্কার সাবেক গভর্নর সারাহ পলিন। আলাস্কার সাবেক গভর্নর সারাহ পলিন ২০০৮ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সম্ভাব্য সাত প্রতিযোগীর মধ্যে তিনি একজন। সিএনএন।

সর্বশেষ খবর