শিরোনাম
শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মধ্যপ্রাচ্যের ‘সত্যিকার হুমকি’ ইসরায়েল

ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা

ইসরায়েল এমন একটি দেশ যেটি মধ্যপ্রাচ্যের টিউমার হিসেবে পরিচিত। তবে এবার ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওই দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের জন্য সত্যিকারের হুমকি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও এনএসএ’র সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা ২০০৮ সালের একটি নথিতে দেখা যায়, ব্রিটিশ গোয়েন্দারা ইরান নিয়ে ইসরায়েলের অবস্থান সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলেন। একটি নথিতে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাধর সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স সংস্থা জিসিএইচকিউ ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যের ‘সত্যিকার হুমকি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। জিসিএইচকিউ বিষয়টি নিশ্চিত করতে ইসরায়েলি কূটনীতিক, প্রতিরক্ষা ফার্ম ও সামরিক বাহিনীর ওপর  গোয়েন্দাগিরিও চালিয়েছে। বুধবার ফরাসি শীর্ষ দৈনিক ল্য মঁদে এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁসকৃত নথিপত্রের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন  ছেপেছে। ২০০৯ সালের একটি টপ-সিক্রেট নথিতে জিসিএইচকিউ লিখেছে, ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর সত্যিকার হুমকি তৈরি করেছে ইসরায়েল। বিশেষ করে, ইরান ইস্যুতে দেশটির অবস্থানের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’ ল্য মঁদ পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি কূটনীতিকদের ব্যাপারে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করেছে জিসিএইচকিউ। নজরদারির আওতায় ছিলেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন দ্বিতীয় শীর্ষ পদমর্যাদার কর্মকর্তাও। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ওপরও গোয়েন্দাগিরি চালিয়েছে ব্রিটিশরা। নাইজেরিয়া ও কেনিয়ায় দুই ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের ই-মেইল আলাপচারিতাও ব্রিটিশদের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের আওতায় পড়েছিল। ফাইবার অপটিকসে দক্ষ ওফির অপ্ট্রনিক্স নামে একটি প্রতিরক্ষা কোম্পানির ওপরও নজরদারি চালানো হয়। এ ফার্মের সঙ্গে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ব্রিটিশদের নজরদারিতে ছিল জেরুজালেম হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকাহ ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্স বিভাগও।

সর্বশেষ খবর