সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

গণভোট নিয়ে ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে তুরস্কের বিবাদ

গণভোট নিয়ে ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে তুরস্কের বিবাদ

প্রবাসী তুর্কিদের মধ্যে তুরস্কে অনুষ্ঠেয় এক গণভোটের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে তুরস্কের সঙ্গে নতুন করে সুইডেনের তিক্ততা তৈরি হয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় নেদারল্যান্ডসের সঙ্গেও চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আগামী মাসের ১৮ তারিখ গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে। পার্লামেন্টারি ব্যবস্থার পরিবর্তে  প্রেসিডেনশিয়াল সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের পক্ষে-বিপক্ষে  ভোট দেবে তুর্কিরা। প্রেসিডেনশিয়াল ব্যবস্থা প্রবর্তন হলে তুরস্কে প্রেসিডেন্টের হাতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো  দেশের সর্বময় ক্ষমতা চলে আসবে। এর বিরুদ্ধে তুরস্কে বিক্ষোভ চলছে। এরদোগানের পক্ষে প্রচারণার জন্য বিদেশে অর্থাৎ সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে একটি হল ভাড়া করা হয়েছিল তার অনুমতি তার মালিক প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সুইডেনে বসবাসকারী তুর্কি-বিরোধী নেতারা বলছেন, এই প্রচারণা খুবই উসকানিমূলক। আর আগে তুরস্কের আরও দুজন মন্ত্রীকে নেদারল্যান্ডসে প্রচারণার অনুমতি না দেওয়ায় ওই দেশটির সঙ্গেও বিরোধের সৃষ্টি হয়। তুরস্কে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়াতে সংবিধান সংশোধনে গণভোটের আয়োজন করেছে এরদোগান সরকার। এই প্রস্তাবের পক্ষে প্রবাসী তুর্কিদের ভোট  জোগাড়ে সরকার ইউরোপের দেশগুলোতে প্রচারণার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু তাতে রাজি হচ্ছে না ইউরোপের একের পর এক দেশ। আর এ নিয়ে এই দেশগুলোর সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়েছে এরদোগান সরকারের।

তুর্কি মন্ত্রীকে তাড়িয়ে দিল নেদারল্যান্ডস : তুরস্কের সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনের পক্ষে বিক্ষোভের মুখে দেশটির এক মন্ত্রীকে তাড়িয়ে দিল নেদারল্যান্ডস। স্থানীয় সময় শনিবার নেদারল্যান্ডসের রটারডামে তুরস্কের কনস্যুলেটের সামনে তুর্কিরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের সমর্থনে স্থলপথে রটারডামে আসেন দেশটির পরিবারমন্ত্রী ফাতমা বেতুল সায়ান কায়া। ডাচ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সায়ান কায়াকে কনস্যুলেটের ভিতরে প্রবেশ করতে  দেওয়া হয়নি। নিরাপত্তাকর্মীদের প্রহরায় তাকে জার্মানি সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার ১ হাজারের বেশি তুর্কি রটারডামে তুরস্কের কনস্যুলেটের সামনে ভিড় করে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করা হয়। সেই নিরাপত্তাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাস্তায় নামে। বিক্ষোভকারীরা বোতল ছুড়ে এবং পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। নেদারল্যান্ডসে বসবাসকারী তুর্কিদেও ভোটদানে সাহায্য করার পরিকল্পনা নিয়ে রটারডামে আসেন সায়ান কায়া। উল্লেখ্য, প্রায় ৫৫ লাখ তুর্কি দেশের বাইরে বসবাস করে। এর মধ্যে শুধু জার্মানিতে আছে ১৪ লাখ তুর্কি। জার্মানিসহ অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডসেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তুর্কি বসবাস করে। এসব দেশে গণভোটের পক্ষে বেশ কিছু সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছে তুরস্ক সরকার। কিন্তু এসব দেশে এরদোগান-সমর্থকরা সমাবেশ করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। বিবিসি।

সর্বশেষ খবর