মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন কেউ শান্তি চায় না : ট্রাম্প

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন কেউ শান্তি চায় না : ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন, ফিলিস্তিন এমনকি ইসরায়েল কেউই শান্তি স্থাপন করতে চায় না। এ জন্য তারা প্রস্তুত বলেও মনে করেন না। ইসরায়েলের একটি পত্রিকাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি  ইসরায়েলি ‘বসতি’ নিয়ে সুর বদল করেছেন। তিনি বলেছেন, এই বসতি ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়াকে ‘জটিল’ করে তুলছে। এ জন্য তিনি ইসরায়েলকে সতর্কও করে দিয়েছেন। ইসরায়েলের সব কিছুতে ট্রাম্পের সায় থাকলেও এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এ ধরনের কথা বললেন। যুক্তরাষ্ট্র কখন শান্তি পরিকল্পনা পেশ করবে? ইসরায়েলের হাইয়ুম পত্রিকার সম্পাদক বোয়াজ বিসমুথের এ প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা দেখব কি ঘটে। এ মুহূর্তে ফিলিস্তিন শান্তি স্থাপনের পথে নেই। আর কেবল তারাই নয়; ইসরায়েলের ব্যাপারেও আমার মনে হচ্ছে, তারা শান্তি স্থাপন করতে ইচ্ছুক না। সুতরাং, আমাদের কেবলই অপেক্ষা করে যেতে হবে আর দেখতে হবে কি হয়।’ শান্তি পরিকল্পনায় ইসরায়েলি বসতি’র বিষয়টি থাকবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা বসতি নিয়ে কথা বলব। বসতিস্থাপন এমন একটি বিষয় যেটি সবসময়ই শান্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করেছে এবং খুবই জটিল করে তুলছে। সুতরাং, বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে বলে আমি মনে করি।’ ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েলের দখল করে নেওয়া পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে গড়ে তোলা প্রায় ১৪০টি বসতিতে বাস করে ৬ লাখেরও বেশি ইহুদি। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এ বসতিস্থাপন অবৈধ। যদিও ইসরায়েল তা মানে না। ট্রাম্প গত বছর ডিসেম্বরে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চার করেছেন। ফিলিস্তিনিরা শান্তি আলোচনায় রাজি না হলে তাদেরকে সাহায্য বন্ধের হুমকিও দিয়েছেন তিনি। আর এখন তিনি ইসরায়েলকে নিয়ে মন্তব্য করলেন। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি নিশ্চিত করার জন্য ইসরায়েলকে ‘উল্লেখযোগ্য আপোস’ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ট্রাম্প তার ক্ষমতাকালের ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন সাক্ষাৎকারে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী। এখন দুপক্ষ কোথায় সীমান্ত টানা হবে তা নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছলে আমি সমর্থন দেব।’ তিনি বলেন, ‘শান্তিচুক্তি সম্ভব করতে চাইলে উভয়পক্ষকেই লক্ষণীয় আপোস করতে হবে বলে আমি মনে করি।’ রয়টার্স।

সর্বশেষ খবর