আগের প্রেসিডেন্টের মতো বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এপ্রিল মাসকে ‘যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাতীয় সচেতনতার’ মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। যদিও তার নিজের বিরুদ্ধেই এ নিপীড়নের বহু অভিযোগ রয়েছে।
সিএনএনএ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গত শুক্রবার এক সরকারি প্রজ্ঞাপনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স রিসোর্স সেন্টারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে এপ্রিল যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সচেতনতার মাস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি শুরু হয় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় ২০১০ সাল থেকে। সেই প্রথা এখনো চালু আছে। এদিকে বেশ কয়েকজন নারী এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে নানা ধরনের যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করেছেন।
পর্নো চলচ্চিত্রের নায়িকা, প্লে-বয় ম্যাগাজিনের মডেলসহ একাধিক নারী ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা তুলে ধরে টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার পর্যন্ত দিয়েছেন।গত বছর থেকে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে ‘মি টু’ আন্দোলন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মি টুও বলেছে, খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেই উঠেছে নিপীড়নের অভিযোগ। যেমন গত ডিসেম্বরে একদল নারী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাদের যৌন সম্পর্কের ঘটনা তুলে ধরেন। এ যাবত অন্তত ১৫ জন নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন। এর মধ্যে ১৩ জন নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরাসরি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। এসব ঘটনা ঘটেছে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে। তবে প্রতিটি ঘটনাই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে।
এ অবস্থায় প্রেসিডেন্টের প্রজ্ঞাপন তুলে ধরে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সমাজে যৌন নিগ্রহ দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিয়মিত ঘটছে। এখানে নিপীড়নকারীরা প্রায়ই শাস্তি পায় না। এ ধরনের জঘন্য অপরাধ ঘটে যত্রতত্র। গভীর সম্পর্কে, জনসমক্ষে এবং কর্মক্ষেত্রেও এ ঘটনা ঘটে।’
