রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

অন্য খবর

অন্য খবর

ঘোড়ায় চড়ায়...

বাড়িতে ঘোড়া রাখা এবং ঘোড়ার পিঠে চড়ার অপরাধে খুন হতে হলো এক দলিত যুবককে। খুনের অভিযোগ উঠেছে সমাজেরই উচ্চ বর্ণের কিছু মানুষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুজরাটের ভাবনগরে। খুনের অভিযোগে শুক্রবারই উমরালা থানার পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। তদন্তে অগ্রগতি আনতে ভাবনগর ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিশের সহায়তাও নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, দুই মাস আগেই একটি ঘোড়া কিনেছিল প্রদীপ রাঠোর (২১) নামে এক যুবক। আর এরপরই তার গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা তাকে ক্রমাগত হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।

প্রদীপের বাবা কালুভাই রাঠোর জানান, ৩০ হাজার রুপি দিয়ে প্রদীপের জন্য ওই ঘোড়াটি কেনার পর  থেকেই নাতুভা দরবার এবং তার আরেক বন্ধু তাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। হুমকি আসার পরই প্রদীপ ঘোড়াটি বিক্রি করে দেওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করেছিল কিন্তু তিনি তা করতে নিষেধ করেন। কালুভাই আরও জানান, বৃহস্পতিবার তার ছেলে তাদের পারিবারিক ফার্ম হাউসে যায় এবং তাকে বলে যে ছেলে ফিরে আসার পরই তারা একসঙ্গে নৈশভোজ করবে। কিন্তু অনেক রাত হয়ে যাওয়ার পরও ছেলে বাড়ি ফিরে না আসায়, তার খোঁজ শুরু হয়। বাড়ি থেকে ফার্মের দিকে যাওয়ার পথেই ছেলের লাশ দেখতে পান কালুভাই, একটু দূরেই ঘোড়াটিকেও মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। দুর্ঘটনার দিনও ঘোড়ায় চেপেই প্রদীপ তাদের পারিবারিক ফার্মে গিয়েছিল বলে জানা গেছে। এরপরই খবর  দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। নিহত প্রদীপের লাশকে  পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয় ভাবনগর সিভিল হাসপাতালে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা না পর্যন্ত ছেলের লাশ ফেরত  নেওয়া হবে না। সূত্রের খবর, দলিত হত্যার পরই ঘটনার তদন্তে রাজ্য সরকারের পক্ষে সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভাবনগরের টিমবি গ্রামটিতে প্রায় ৫ হাজার লোকের বাস, এর মধ্যে দরবার ও ক্ষত্রিয়ের সংখ্যাই বেশি। মাত্র ৪০ দলিত পরিবারের বাস সেখানে।  কালুভাই জানান ‘প্রদীপের বন্ধুরা বলেছিল যে দলিতদের  ঘোড়ায় চড়া উচিত নয় কারণ টিমবি ও পার্শ্ববর্তী গ্রামে দলিতদের নিজস্ব কোনো ঘোড়া নেই।’ 

মাত্র ৭৬ জন

চীন সীমান্ত লাগোয়া ভারতের অরুণাচল প্রদেশের গ্রাম ‘কাহু’। অজ পাড়াগাঁ বলতে যা বোঝায় গ্রামটি ঠিক তা-ই। দুর্বল অবকাঠামো, কাঁচা রাস্তা। রয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্কেরও অভাব। এমন একটি গ্রামে হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ থাকবেন সেটাই স্বাভাবিক। বাস্তবও তাই। সেখানে মাত্র ১২টি পরিবারের বাস। মানুষের সংখ্যা ৭৬ জন। গ্রামবাসীরাও জানান, সেনাবাহিনীর তরফ থেকে তাদের মোবাইলে ফোন করতে দেওয়া বা অন্য পরিষেবা প্রদান করা হয়। না হলে যে কি হতো তা কে জানে! ‘কাহু’ গ্রামের প্রধান কুংচক শেরিং মেয়র বলেন, ‘আমরা এখানে সাত প্রজন্ম ধরে বসবাস করছি। কলকাতা প্রতিনিধি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর