বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

পুনর্বিবেচনায় রাজি সুপ্রিম কোর্ট

ভারতে দলিত সুরক্ষা আইন

পুনর্বিবেচনায় রাজি সুপ্রিম কোর্ট

একটি আইনের বিরোধিতা করে দলিত সম্প্রদায়ের ডাকা ভারত জুড়ে হরতালে নয়জন নিহত হওয়ার পর সেই আইন শিথিল করতে রাজি হয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। তবে দ্য শিডিউলডকাস্ট অ্যান্ড দ্য শিডিউলড ট্রাইবস প্রিভেনশন অব অ্যাট্রোসিটিজ অ্যাক্ট (তফসিলি জাতি-উপজাতি সংরক্ষণ আইন) শিথিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি নয় আদালত। তবে দশ দিন পর শুনানি করতে এবং রায়টি পুনর্বিবেচনা করতে রাজি হয়েছে তারা। এর জন্য সব পক্ষকে দুই দিনের মধ্যে লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলা হয়েছে। গত ২০ মার্চ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের ওপর অত্যাচার বন্ধের আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার করা হচ্ছে। তাই এখন থেকে আর নিয়োগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া এই আইনে কোনো সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করা যাবে না। তফসিলি জাতি-উপজাতির ওপর অত্যাচারের কোনো মামলা দায়ের করার আগে সেই ঘটনা ডিএসপি পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। এ ছাড়া এই ঘটনায় অভিযুক্ত কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে সোমবার দলিত সংগঠনগুলোর ডাকা ভারত বন্ধ কর্মসূচি ডাক সহিংসতায় রূপ নেয়। এদিন বিভিন্ন রাজ্যে পুলিশের সঙ্গে দলিতদের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত হয়। এদিনই আবার কেন্দ্রীয় সরকার রায়টির বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন পেশ করে ২০ মার্চের নির্দেশ খতিয়ে দেখার আবেদন জানায়। গতকাল বিচারপতি এ কে গোয়েল ও বিচারপতি ইউ ইউ ললিতকে নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ জানিয়ে দেয় রায়টিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। তবে বেঞ্চ কেন্দ্রের রিভিউ পিটিশনটি বিস্তারিত শুনতে রাজি হয়েছে। এরপর শুনানির জন্য তা তালিকাভুক্তও করেছে। দুই দিনের মধ্যে লিখিত বক্তব্য পেশ করতে বলেছে মহারাষ্ট্র সরকার ও অন্যদের। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ মনে করছে, তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনের কোনো বিধি, ধারা লঘু করা হয়নি, শুধু নিরীহ, নিরপরাধ লোকজনের অহেতুক হেনস্তা ঠেকানো, তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এই আইনের কোনো ধারা নির্দোষ ব্যক্তিকে ভয় দেখাতে প্রয়োগ করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর