বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইসরায়েলের ভূমির অধিকার আছে

-------- সৌদি যুবরাজ

প্রতিদিন ডেস্ক

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ইসরায়েলের নিজেদের ভূমিতে ‘শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকার’ আছে। সোমবার মার্কিন সংবাদ সাময়িকী দ্য আটলান্টিক সৌদি যুবরাজের এক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন। খবর রয়টার্স ও এএফপির। সম্প্রতি তিন সপ্তাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। তখনই তিনি এ সাক্ষাৎকার দেন।

সৌদি আরব ও ইসরায়েলের কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রুতগতিতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটেছে। দুটি দেশই ইরানকে তাদের উভয়ের হুমকি বলে মনে করে।

তেহরান ও রিয়াদের মধ্যকার উত্তেজনা সৌদি আরবকে ইসরায়েলের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর ইরানকে হুমকি হিসেবে দেখছে। দুই দেশের অন্যতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। আর দুই দেশই সশস্ত্র ইসলামী জঙ্গিদের আক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে।

দ্য আটলান্টিকের প্রধান সম্পাদক জেফরি গোল্ডবার্গ সৌদি প্রিন্সের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, নিজেদের পিতৃপুরুষের ভূমিতে একটি জাতিরাষ্ট্র হিসেবে ইহুদিদের বসবাসের সুযোগ আছে বলে তিনি মনে করেন কিনা।

এর জবাবে যুবরাজ বলেন, ‘আমি মনে করি, যে কোনো মানুষের একটি শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রে বসবাসের অধিকার রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, নিজেদের ভূমির ওপর ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের অধিকার আছে। কিন্তু আমাদের এখন একটি শান্তিচুক্তি দরকার, যাতে সব পক্ষই স্থিতিশীল ও স্বাভাবিক একটি সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে।’

এএফপির খবরে বলা হয়, ২০০২ সাল থেকে চলা আরব শান্তি উদ্যোগের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সৌদি আরব। তাদের স্বপ্ন, দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের সংকট সমাধান হবে।

কিন্তু মোহাম্মদ বিন সালমানের আগে কোনো সৌদি কর্মকর্তা ইসরায়েলের ভূমি অধিকারের বিষয়টি মেনে নেননি।

সাক্ষাৎকারে যুবরাজ বলেন, মুসলমানদের ধর্মীয় স্থান জেরুজালেম-আল আকসা মসজিদ কম্পাউন্ড যতক্ষণ সুরক্ষিত, ততক্ষণ ফিলিস্তিনের পাশে ইসরায়েলিদের থাকার বিষয়ে তার কোনো ‘আপত্তি’ নেই।

যুবরাজ বলেন, ‘জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদের ধর্মীয় গুরুত্ব এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিয়ে আমাদের মূল আগ্রহের বিষয়। আমরা শুধু বলতে চাই, অন্য কারও বিষয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।’

ইসলাম ধর্মের উৎপত্তিস্থল ও প্রধান তীর্থভূমি সৌদি আরব ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে না।

ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের সময় আরব ভূখণ্ড দখল করে নেয়। ওই ভূমি ফেরত দেওয়ার ওপর ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক নির্ভর করবে এমন নীতিই রিয়াদ এতদিন বজায় রেখে এসেছে। ফিলিস্তিনিরা ওই ভূমির দাবিদার।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নে সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘ইসরায়েলের ও আমাদের একাধিক বিষয়ে অভিন্ন স্বার্থ আছে। আর শান্তি যদি থাকে, উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের অন্য সদস্য দেশগুলোও ইসরায়েলের সঙ্গে অনেক বিষয়ে আগ্রহী হবে।’

সর্বশেষ খবর