শনিবার, ২ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পদচ্যুত

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পদচ্যুত

বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখয়ের সঙ্গে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ —এএফপি

কাতালানিয়ার স্বাধীনতার আন্দোলনকে প্রায় একাই সামলিয়েছিলেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাখয়। কিন্তু সেই প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা হারালেন দুর্নীতির দায়ে। পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে গেছেন। স্পেনের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী অনাস্থা ভোটে হারলেন। ক্ষমতাসীন দল পিপলস পার্টি (পিপি) বড় ধরনের দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকায় প্রধানমন্ত্রী রাখয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন স্প্যানিশ স্যোশালিস্ট ওয়ার্কার্স পার্টির (পিএসওই) নেতা পেদ্রো সানচেজ। আর তিনিই এখন স্পেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। গতকাল পার্লামেন্টে ভোটের আগে সানচেজ বলেছিলেন, ‘আমরা দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছি।’

রক্ষণশীল পিপলস পার্টি নেতা রাখয় সাত বছর ধরে দেশ চালাচ্ছেন। তিনি ২০১১ সাল থেকে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ভোটে রাখয়কে পদচ্যুত করার পক্ষে ভোট দেন ১৮০ জন এমপি, বিপক্ষে পড়ে ১৬৯ ভোট এবং একজন ভোটদানে বিরত ছিলেন। অন্যদিকে, স্যোশালিস্ট নেতা সানচেজ বৃহস্পতিবারই অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ৬টি ছোট দলের সমর্থন পেয়ে যাওয়ায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন।

কেন অনাস্থা : পিএসওই নেতা সানচেজের অভিযোগ, মারিয়ানো রাখয় দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে তার দলের জড়িত থাকার দায় নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও আছে। গত সপ্তাহে স্পেনের আদালত ব্যবসায় জড়িত ২৯ ব্যক্তির সঙ্গে পিপি কর্মকর্তাদেরও বিভিন্ন অপরাধের মধ্যে জালিয়াতি, কর ফাঁকি এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে মোট ৩৫১ বছরের জেল দিয়েছে। রাখয়ের দল পিপি অবৈধভাবে সংগৃহীত তহবিল থেকে সুবিধা ভোগ করেছে বলেও বেরিয়ে এসেছে। এ কারণে দলটিকে ২ লাখ ৯০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। এরপরই পিএসওই নেতা সানচেজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী রাখয়কে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান এবং তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন।

রাখয় পদচ্যুত হওয়ায় এখন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় পড়ল স্পেন। তার জায়গায় এ সপ্তাহ শেষেই সানচেজ নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন এবং আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ৩৫০ আসনের পার্লামেন্টে মাত্র ৮৪ আসন থাকায় আইন পাসের জন্য হিমশিম খেতে হবে সানচেজ সরকারকে। এএফপি, বিবিসি।

সর্বশেষ খবর