মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত শীর্ষ বৈঠক হয়েছে দিনকয়েক হলো। এই বৈঠকের সাফল্য সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত সে দেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। পিয়ংইয়ং অবশ্য ভিন্ন প্রত্যাশা করছে। তাদের প্রত্যাশা খুব শিগগিরই এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, গোটা প্রক্রিয়া যাচাই করে যখন নিশ্চিত হওয়া যাবে যে, উত্তর কোরিয়া আবার নতুন করে পরমাণু কর্মসূচি শুরু করতে পারবে না, তখনই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে তিনি আঞ্চলিক সহযোগীদের সঙ্গে সাম্প্রতিক ট্রাম্প-কিম বৈঠক সম্পর্কে আলোচনার সময় এই মন্তব্য করেন? দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন ছাড়াও তিনি সে দেশ ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। পম্পেও বলেন, ২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শেষ করবে বলে তিনি আশা করছেন। এর মধ্যে সে দেশ আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনা না করলে যৌথ মহড়া আবার শুরু করা যেতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন ট্রাম্প-কিম বৈঠকের ইতিবাচক মূল্যায়ন করে বলেন, এর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হলো, গোটা বিশ্ব যুদ্ধের হুমকি থেকে রেহাই পেয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলেন, ট্রাম্প-কিম বৈঠকে বোঝাপড়া নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি দেখা যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, সে দেশ ধাপে ধাপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে অগ্রসর হবে। অন্যদিকে অ্যামেরিকাও ধাপে ধাপে তাদের ছাড় দেবে। মার্কিন প্রশাসন অবশ্য এমন মূল্যায়ন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। তাছাড়া ট্রাম্প নিজে আচমকা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখার ঘোষণা করায় দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান অস্বস্তিতে পড়েছে। এমনকি মার্কিন সেনাবাহিনীও এর অর্থ বোঝার চেষ্টা করছে।