শুক্রবার, ২০ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

খেই হারিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প!

খেই হারিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প!

রাশিয়া বিষয়ে পরস্পরবিরোধী নরম-গরম মন্তব্য করে আরও বিভ্রান্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু রাশিয়া নয়, নিজ দেশের প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্পর্কেও যাচ্ছেতাই মন্তব্য করে চূড়ান্ত বেকায়দায় পড়েছেন ট্রাম্প। অনেক মার্কিনি এ জন্য মন্তব্য করেছেন আসলে ট্রাম্প খেই হারিয়ে ফলেছেন। দুই দিন আগে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করে নিজ দেশের গোয়ন্দা সংস্থাকে অকম্যা ও পুতিনকে বিশ্বস্ত বলে মূল্যায়ন করেন। কিন্তু নিজ দেশে ফিরেই ট্রাম্প সেই মরিয়া ভাব থেকে পিছু হঠছেন, এমনটা এর আগে দেখা যায়নি। তবে দুই পা পিছিয়ে আবার এক পা এগিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করছেন। চাপের মুখে তিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ওপর ‘সম্পূর্ণ’ আস্থা দেখিয়েছেন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের প্রমাণ স্বীকার করে নিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, অন্যরাও জড়িত থাকতে পারে। তারপরই আবার চলতি বছরের সংসদ নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে এমন নানা পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন তিনি। হোয়াইট হাউস তার ব্যাখ্যা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। বুধবার সিবিএস টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য রাশিয়ার শীর্ষ নেতা হিসেবে পুতিন অবশ্যই দায়ী। একান্ত আলোচনায় তিনি নাকি পুতিনকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।  এ ছাড়াও তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বহিষ্কারসহ যথেষ্ট কড়া পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন। এর আগে অন্য কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার প্রতি এত কড়া মনোভাব দেখাননি বলে দাবি করেন ট্রাম্প। তার মতে, এর ফলে পুতিন মোটেই আনন্দিত নন। তবে শীর্ষ বৈঠকের বড় ফলাফল দেখা যাবে বলে দাবি করেন ট্রাম্প। সমালোচকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক কিছু লোকের পছন্দ নয়। তারা বরং যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত। হেলসিংকিতে পুতিন মার্কিন তদন্তকারীদের মস্কোয় পাঠানোর যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, হোয়াইট হাউস সেটি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে। মার্কিন নির্বাচনে সাইবার হামলার দায়ে ১২ জন রুশ গোয়েন্দা অফিসারকে জেরা করার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে। তবে এর বদলে রাশিয়াও আমেরিকায় তদন্তকারী টিম পাঠাতে চায়। এদিকে হেলসিংকিতে পুতিন ও ট্রাম্পের বৈঠকে তাদের দোভাষী ছাড়া আর কেউই উপস্থিত ছিল না। এ নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানাতে আগামী সপ্তাহেই মার্কিন কংগ্রেসের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। বিবিসি, ডয়েচে ভেলে

সর্বশেষ খবর