বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আসামের নাগরিক তালিকার সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু

বাদ পড়া প্রায় ৪০ লাখ মানুষ নতুন করে আবেদন করতে পারবে

ভারতের আসামের জাতীয় নাগরিক তালিকার চূড়ান্ত খসড়া তালিকার চূড়ান্ত সংশোধনের প্রক্রিয়া গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী দুই মাস পর্যন্ত। আগের দুটি খসড়া তালিকা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষের বাদ পড়া নিয়ে বিতর্ক ওঠায় আদালতের নির্দেশে গতকাল থেকেই সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

গত ৩০ জুলাই প্রকাশিত সেই চূড়ান্ত খসড়ায় বাদ পড়েছিল প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য যেসব তথ্য ও নথি চাওয়া হয়েছিল সেগুলো জমা না দেওয়ার কারণে তাদের বাদ দেওয়া হয় বলে জানায় আসাম সরকার। এখন কর্তৃপক্ষ বলেছেন যাদের নাম বাদ পড়েছে তারা তথ্য ও নথি জমা দিয়ে, তালিকায় নাম তুলতে আবেদন জানাতে পারবেন। শুরুতে আবেদন করার জন্য প্রাথমিকভাবে ১৫টি নথি নির্ধারণ করা হয়েছিল। তখন আবেদন করেছিলেন তিন কোটি ২৯ লাখ মানুষ। তার মধ্যে ৪০ লাখ ৭ হাজার ৭০০ লোকের নাম পূর্ণাঙ্গ খসড়ায় ওঠেনি। মূলত ২৫ মার্চ ১৯৭১-এর আগে যারা আসামে গিয়েছিলেন বলে নথি প্রমাণ পেশ করতে পারেননি, তাদের নাম জাতীয় নাগরিক পঞ্জি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তা হলে এখন যারা সংশোধনের আবেদন করবেন তারা কিসের মাধ্যমে সেই আবেদন জানাবেন? শিলচরের দৈনিক যুগশঙ্খ পত্রিকার সম্পাদক অরিজিত আদিত্য বিবিসি বাংলাকে জানান, এবার এনআরসি কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টে যে স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিওর-এসওপি জমা দিয়েছেন, সেখানে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর বাবা-মা বা পূর্বপুরুষরা যে ১৯৭১ সালের আগে থেকেই আসামে বসবাস করতেন এখন সেটার প্রমাণ দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ১৯৭১ বা তার আগের ভোটার তালিকাকে মান্য করা হয়েছিল। কিন্তু এনআরসি কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করছেন যে, এই ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত মাইগ্রেশন বা রিফিউজি কার্ড যেটা ছিল সেটাতেও কারচুপি করা হয়েছে বলে তাদের সংশয় রয়েছে। তালিকা থেকে যাদের নাম বাদ পড়েছে তাদের তথ্য সংশোধনের জন্য যে এক মাস সময় দেওয়া হলো তারা এই সুযোগটা কীভাবে লাগাতে পারেন? তবে নতুন করে তালিকাভুক্তির বিষয়ে বাদ পড়াদের খুব বেশি আশান্বিত হওয়ার কারণ দেখছেন না আদিত্য।”সেই সম্ভাবনা খুব কম। কেন না এবার প্রমাণপত্র হিসেবে জীবন বীমা, ব্যাংকের পাসবুক বা পাসপোর্ট চাওয়া হয়েছে। যারা ৭১ সালের আগে ভারতে এসেছিলেন তারা মূলত যুদ্ধকালীন অবস্থা থেকে পালিয়ে এখানে এসেছিলেন এবং তাদের বেশিরভাগ তখন সহায় সম্বলহীন ছিলেন।

সর্বশেষ খবর