মঙ্গলবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

গোটা বিশ্বকে কঠিন জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি সৌদির

খাসোগির অন্তর্ধান

গোটা বিশ্বকে কঠিন জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি সৌদির

সৌদি আরবের সাংবাদিক ও স্বেচ্ছা নির্বাসিত জামাল খাসোগির ‘খুন’ হওয়ার ঘটনায় সৌদি আরবকে তোপের মুখে রেখেছে বিশ্ব। এতে নমনীয় না হয়ে বরং গোটা বিশ্বকে রীতিমতো শাসাল সৌদি আরব। বলেছে খাসোগির বিষয়ে যদি সৌদির বিরুদ্ধে কোনো রকমের নিষেধাজ্ঞা বা অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা হলে বিশ্ব পরিস্থিতিকেই বদলে দেবে সৌদি আরব। কারণ সৌদি যদি তেল বন্ধ করে দেয় তাহলে বিশ্বই অচল হয়ে পড়বে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তবে এই হুমকিতে তেমন কোনো কাজ হবে না। এরই মধ্যে সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এ ইস্যুতে জাতিসংঘের মহাসচিব পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছেন। আর রিয়াদের কাছে জবাব চেয়েছে ফ্রান্স। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, ‘বন্ধুত্ব সমান মূল্যবোধের ওপর নির্ভর করে’। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, খোদ সৌদি আরবের মিত্র হিসেবে পরিচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি প্রমাণ হয় যে, সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে সৌদি আরব হত্যা করেছে তাহলে দেশটিকে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এমন পরিস্থিতিতেই মূলত রবিবার উল্টো এ ইস্যুতে কথা বলা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রিয়াদ। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সৌদি কর্মকর্তা সৌদি প্রেস এজেন্সিকে (এসপিএ) বলেছেন, অন্য দেশগুলোর কোনো ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি, রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি এবং মিথ্যা অভিযোগের পুনরাবৃত্তি প্রত্যাখ্যান করছে সৌদি আরব। রিয়াদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলে তার প্রতিক্রিয়ায় আরও ‘বড় ধরনের’ পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে সৌদি আরবের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এর বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। এদিকে  খাসোগির অন্তর্ধানের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে রিয়াদের টানাপড়েনের মধ্যেই সৌদি আরবের শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে। রবিবার সকালেই শেয়ারের দরপতন শুরু হয়। ওইদিনই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় রিয়াদ। রবিবার বাজার শুরু হওয়ার প্রথম ঘণ্টায়ই সৌদি শেয়ারের দামে ৪ শতাংশ পতন ঘটে।  সৌদি শেয়ারবাজারে এই ধস নামার আগেই রিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য বিনিয়োগ সম্মেলন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় একাধিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ওই সম্মেলনের কাভারেজ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মূল ধারার মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো। সম্মেলন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রী আর্নেস্ট মোনিজ, যুক্তরাজ্যের ধনকুবের ও ভার্জিন গ্যালাক্টিকের রিচার্ড ব্রনসন, এওএলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ কেস, মার্কিন সাময়িকী ইকোনমিস্ট, সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস, সিএনবিসিসহ আরও প্রতিষ্ঠান।  বিবিসি, আল জাজিরা।

সর্বশেষ খবর