শিরোনাম
শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

যুদ্ধ হলে হারবে যুক্তরাষ্ট্র!

কংগ্রেসের রিপোর্ট

সারা বিশ্বে একক আধিপত্য যুক্তরাষ্ট্রের। আর এই আধিপত্য চলছে শতাব্দী ধরে। তার প্রমাণ দিয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। মাঝে স্নায়ুযুদ্ধের সময় প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার চেষ্টা করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। কিন্তু খোদ মার্কিন কংগ্রেসেরই একটি প্যানেল বলছে সেদিন শেষ হতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের। শক্তিধর হিসেবে উঠে আসছে রাশিয়া ও চীন। এই দুটি দেশের যে কারও সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে হেরে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। অবিলম্বে প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ না বাড়ালে ভয়ানক বিপদ ঘটে যেতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওই প্যানেল। অথচ এ বছর পেন্টাগনের প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা রাশিয়া এবং চীনের প্রতিরক্ষা বাজেটের যোগফলের চেয়েও বেশি। কিন্তু চীন-রাশিয়ার মতো শক্তির সঙ্গে লড়তে গেলে এই পরিমাণ যথেষ্ট নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্যানেলের রিপোর্টে। আরও অন্তত তিন থেকে পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির সুপারিশও করেছেন সদস্যরা। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের ডজনখানেক প্রাক্তন শীর্ষ কর্তাকে নিয়ে গঠিত মার্কিন কংগ্রেসের এই প্যানেল সরকারের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখে পরামর্শ দিয়ে থাকে। প্যানেলের সদস্যরাই সম্প্রতি একটি রিপোর্টে আমেরিকার জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে মস্কো এবং বেইজিং। এমনকি, ওয়াশিংটনকে যুদ্ধে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও অর্জন করে ফেলেছে রাশিয়া-চীন। প্যানেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, একবিংশ শতাব্দীতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে মিসাইল, সাইবার, আকাশসীমা, ডুবোজাহাজের মতো সামরিক ক্ষেত্রে কার্যত নজরই দেওয়া হয়নি। ফলে কার্যত ফাঁপা হয়ে গেছে এসব ক্ষেত্র। ‘প্রায় সমশক্তির শত্রু, বিশেষ করে রাশিয়া এবং চীনের মতো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হলে যে দক্ষতা, পরিকল্পনা ও সামরিক শক্তির প্রয়োজন হয়, তার সব ক্ষেত্রেই দুর্বল হয়ে পড়েছে ওয়াশিংটন।

সর্বশেষ খবর