সৌদি ইস্যু নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘দ্বিগুণ তিরস্কার’ করল মার্কিন সিনেট। বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানের নিন্দা জানিয়ে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রিয়াদের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের পক্ষে ভোট দিয়েছে সিনেট।

ইয়েমেনে সৌদি আরবের অভিযান থেকে মার্কিন সামরিক সাহায্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার পক্ষে এক প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। একই সঙ্গে সিনেট সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার জন্য সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করে আরেকটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রথমবারের মতো ১৯৭৩ সামরিক শক্তি বিষয়ক আইন ব্যবহার করে ইয়েমেনে সৌদি অভিযানের ওপর সিনেটে ভোট গ্রহণ করা হলো। এই ভোটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কিছু সতীর্থ রিপাবলিকান দলীয় অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে যোগ দেন। তবে এ প্রস্তাবকে মূলত প্রতীকী হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং এটা আইন হিসেবে গৃহীত হবে এমন সম্ভাবনাও কম। ইয়েমেনে যুদ্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গত মাস থেকেই সৌদি যুদ্ধবিমানগুলিতে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। যুবরাজ মোহাম্মদের প্রশ্নে মার্কিন সিনেটের সিদ্ধান্ত ছিল সর্বসম্মত।

ইয়েমেনের যুদ্ধের ব্যাপারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভার্মন্টের স্বতন্ত্র সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বলেন, ‘আজ সৌদি আরবের স্বৈরশাসকদের প্রতি আমরা বলেছি যে আমরা তাদের সামরিক অ্যাডভেঞ্চারের অংশ হতে চাই না।’ খাশোগির হত্যায় সৌদি যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে রিপাবলিকান সিনেটর বব কর্কার বলেন, আজ যদি কোনো জুরির সামনে যুবরাজের বিচার হতো তাহলে আমার ধারণা ৩০ মিনিটের মুখে তিনি দোষী প্রমাণিত হতেন। বিবিসির সংবাদদাতা বারবারা প্লেট আশার বলছেন, এ দুটি প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে যে বেশিরভাগ সিনেটর মনে করেন সৌদি আরবের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ক এভাবে চলতে পারে না।