মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইরানে হামলার নির্দেশ ছিল

ইরানে সামরিক হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিতে গত বছর মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনকে নির্দেশ দিয়েছিল হোয়াইট হাউস। সেপ্টেম্বরে ইরাকে দুটি ঘটনার পর এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ঘটনায় বাগদাদের যে কূটনৈতিক এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তার কাছে শিয়া মিলিশিয়ারা তিনটি মর্টার শেল নিক্ষেপ করে। এর দু-একদিন পরেই বসরা নগরীতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের কাছে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল। এরপরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল ওই পরিকল্পনার নির্দেশ দিয়েছিল পেন্টাগনকে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

এতে বলা হয়, এমন নির্দেশের পর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। এসব কথা বলেছেন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা। যদিও প্রশাসনের ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ একটি যুদ্ধের পরিকল্পনা স্বাভাবিক অংশ, কিন্তু যেভাবে যে সুরে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাতে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সাবেক উপ উপদেষ্টা মিরা রিকার্ডেল সে সময় তিনি ইরাকের ওই হামলাকে যুদ্ধের পরিণতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সে অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সাবেক একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, এমন নির্দেশে লোকজন অবশ্যই হতাশ হয়েছিল। কীভাবে ইরানে হামলা চালানো হবে তা নিয়ে অনেকেরই মন চমকে উঠেছিল। জন বল্টনের নির্দেশের পর পেন্টাগন কাজ সম্পন্ন করেছিল। তবে এ বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানতেন কিনা অথবা পরিকল্পনাটি কতটা গুরুত্বপূর্ণভাবে এগোচ্ছিল সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি অবলম্বন করেন জন বল্টন। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে তিনি ইরানকে সতর্ক করেছিলেন। বলেছিলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র বা তার কোনো মিত্রের কোনো ক্ষতি করে ইরান তাহলে তাদের নরকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর