কেন্দ্র থেকে মোদি সরকারকে উৎখাত করতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী  মমতা ব্যানার্জির ডাকে সম্প্রতি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড ময়দানে উপস্থিত ছিলেন অ-বিজেপি দলগুলোর শীর্ষ নেতারা। সমাবেশের ‘ভবিষ্যৎ’ কী- তা সময় বললেও, এই র‌্যালি থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, প্রায় এক দশক পরে মমতা ব্যানার্জি ফের জাতীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে ফিরে পেতে চাইছেন। মমতা চাইছেন আরও বেশি করে অ-বিজেপি দলগুলোকে নিয়ে দেশজুড়ে সমাবেশের মাধ্যমে নিজেকে জাতীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে উত্থাপন করা।

ব্রিগেডে তিনি যে কেবলমাত্র ওই সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন তাই নয়, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি (আপ), সমাজবাদী পার্টি, (এসপি), বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি), তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি), রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-সহ একাধিক রাজনৈতিক দলকে এক মঞ্চে হাজির করেছিলেন। যদিও বিজু জনতা দল (বিজেডি), তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (টিআরএস), এআইডিএমকে, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতো দলগুলো মোদিবিরোধী সমাবেশে হাজির ছিলেন না, তবু জাতীয় রাজনীতিবিদরা মমতার এ ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। এ ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাংসদ জানান, ‘মমতা যেভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার কাজ করেছেন তার সেই কৃতিত্ব মোটেও খাটো করার নয়। তিনি খুবই সুক্ষ্মভাবে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী পদের বড় দাবিদার হিসেবে উপস্থাপন করছেন। আর ব্রিগেডের এই সমাবেশ যে বিজেপিকেও বেশ ভালো নাড়া দিয়েছে তাও পরিষ্কার। কারণ মহাজোটের উদ্দেশে মোদির তোপ।’ ওই সাংসদ আরও জানান, ‘নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঠিক করার যে ধারণা মমতা দিয়েছিলেন, বিরোধীরা তাতে সমর্থন দিয়েছে।’ এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি কোণ থেকেই যত বেশি সংখ্যক ভোট আদায় করাই নেত্রীর লক্ষ্য। যদি কোনো রাজনৈতিক দল দক্ষিণের কোনো নেতাকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে, সেক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের ভোটাররা মহাজোটকে ভোট দেওয়ার উৎসাহ নাও পেতে পারেন। তাই নির্বাচনের পরই এবং আসনসংখ্যা বিচার করে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে বেছে নেওয়াটা যুক্তিযুক্ত হবে।’ জানা গেছে, ব্রিগেডের সমাবেশে সাড়া পাওয়ার পর দিল্লি, অমরাবতী ও লক্ষনৌবিরোধী দলগুলোর নেতাদের নিয়ে আরও তিনটি সমাবেশ করতে চাইছেন মমতা।