রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভারতে বিষাক্ত মদ খেয়ে ৭২ জনের মৃত্যু

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

ভারতে বিষাক্ত মদ খেয়ে ৭২ জনের মৃত্যু

ভারতের উত্তর প্রদেশ উত্তরাখন্ডে বিষাক্ত মদপান করে কমপক্ষে ৭২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত তিন দিনে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের, ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যটির কুশিনগরে। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী রাজ্য উত্তরাখন্ডে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিষাক্ত মদ পান করে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে কমপক্ষে ২০ জনেরও বেশি মানুষ। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যথেষ্ট ভয়ঙ্কর। চিকিৎসকদের আশঙ্কা মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দাবি বিষাক্ত মদ প্রথমে পান করা হয় উত্তরাখন্ডে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সাহারানপুরের বেশকিছু গ্রামবাসী উত্তরাখন্ডে একটি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। খাওয়া-দাওয়ার পর তাদের অনেকেই বিষাক্ত মদ পান করেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠান শেষে ওই গ্রামবাসীরা যখন সাহারানপুরে ফিরে আসেন সে সময় অনেকেই ওই মদের প্যাকেট সঙ্গে করে নিয়ে আসেন এবং গ্রামের মানুষদের কাছে তা বিক্রিও করেন। আর তা পান করে রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বহু মানুষ। পরদিন শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয় মৃত্যু মিছিল। কুশিনগরের প্রশাসনের দাবি বিষাক্ত মদ বিহার থেকেও আনা হয়ে থাকতে পারে।

এদিকে বিষাক্ত মদে মৃত্যুর পরই কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। এজন্য আগামী ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য জুড়েই বিষাক্ত মদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে, চলছে ধর পাকড়ও। আটক করা হয়েছে বেশকিছু বেআইনি মদ। 

সাহারানপুরের জেলা প্রশাসক এ কে পান্ডে জানান ‘অসুস্থ হওয়ার পরই চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু করা গেলে প্রাণহানির ঘটনা কম হতো। দ্বিতীয়ত পিন্টু নামে এক ব্যক্তি ৩০ টি বিষাক্ত মদের প্যাকেট তাদের কাছে বিক্রি করে। এর মধ্যে দুই-একটি প্যাকেট ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং যারা ওই মদ পান করেছে তাদের কেউ চিকিৎসাধীন নয়তো মারা গেছে।’ বিষাক্ত ওই মদ বিহার থেকে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

সাহারানপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান ‘যারা এই ঘটনায় জড়িত-তা তারা রাজ্যের হোক বা অন্য রাজ্যের-তাদের কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। আমাদের অভিযান চলবেই। আমরা মৃত্যুকে অস্বীকার করতে পারি না কিন্তু আমরা একে কঠোর হাতে দমন করবো।’

সর্বশেষ খবর