রবিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

আসাম সফরে মোদি বিক্ষোভ-কালো পতাকা

কলকাতা প্রতিনিধি

আসাম সফরে মোদি বিক্ষোভ-কালো পতাকা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের মাধ্যমে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হওয়া সংখ্যালঘু মানুষদের সুরক্ষা দিয়ে দেশ তার কর্তব্য পালন করছে। তাঁর আশ্বাস এই বিলকে ঘিরে উত্তর-পূর্বের মানুষের ওপর কোনো হুমকি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার বরদাশত করবে না। গতকাল আসামের চংসারিতে এক জনসভা থেকে বিলের সমর্থনে মোদি বলেন, ‘এ বিল কেবল আসাম বা উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা বাংলাদেশের যেসব সংখ্যালঘু ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে এবং এ দেশকে বেছে নিয়েছে- তাদের প্রতিও উদ্বেগ রয়েছে।’ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের প্রতিবাদে আসামসহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে বিক্ষোভের মধ্যেই আসাম সফরে যান নরেন্দ্র মোদি। মোদির সফর ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার বন্দোবস্ত করা হলেও বিক্ষোভকারীদের মুখে পড়তে হয় তাকে। মোদিকে কালো পতাকা দেখান অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (আসু) সদস্যরা। দিল্লি থেকে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নামার পর সেখান থেকে সড়কপথে রাজভবনে যাওয়ার পথে রাস্তার ওপরে তাকে কালো পতাকা দেখানো হয়।

এমনকি ‘মোদি গো ব্যাক’, ‘নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল বাতিল হোক’সহ স্লোগানও দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।

যারা এ বিল নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন তাদেরও নিশানা করেন তিনি। মোদির বক্তব্য, ‘যারা দিল্লিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে থাকেন, যারা সংসদে লড়াই করছেন- তারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন। কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ ও ভোট ব্যাংকের জন্য আসামবাসীর আবেগ নিয়ে খেলা করা উচিত নয়। আমি তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব। দেশভাগের পর থেকেই সংখ্যালঘুদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। ভারতের দায়িত্ব হলো তাদের আশ্রয় দেওয়া।’ জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে মোদি বলেন, ‘আমরা ছিটমহল চুক্তি করেছি এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি সিল করে দেওয়ার কাজও জোর কদমে চলছে। আগে এনআরসি কার্যকর হয়নি, কিন্তু আমাদের সরকার সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তার কার্যকরের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এ দেশকে অনুপ্রবেশকারীমুক্ত করতে চাই।’

আসাম চুক্তি নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ দেগে মোদির বক্তব্য, ‘আসাম চুক্তির পর ৩৫ বছর কেটে গেলেও ওই চুক্তির ৬ নম্বর ধারা কার্যকরের ব্যাপারে কোনো আন্তরিকতা দেখায়নি। যদিও কেউ আসামের ৩৬ বছরের দীর্ঘ দাবি পূরণ করতে পারে তবে তা মোদি সরকার। বিজেপি সরকার আসাম ও সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের সম্পদ, ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য বদ্ধপরিকর।’

সর্বশেষ খবর