বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

দিল্লিতে ধর্নার মধ্যমণি মমতা যোগ দিলেন রাহুলও

কলকাতা প্রতিনিধি

দিল্লিতে ধর্নার মধ্যমণি মমতা যোগ দিলেন রাহুলও

দিল্লিতে ধর্নায় বাঁ থেকে ফারুক আব্দুল্লাহ, মমতা ব্যানার্জি, শারদ যাদব ও শারদ পাওয়ার

দিল্লির যন্তরমন্তরের মঞ্চে থেকেও মোদি সরকারকে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,  ‘আজই (গতকাল) ছিল সংসদের শেষ দিন। ফলে এই সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আর মাত্র এক মাসের মধ্যেই ভোটের তফসিল ঘোষণা। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। লড়াই করতে হবে।’ বাম কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্যের সমীকরণ মাথায় রেখেও জোটের বার্তা দিতে মমতা এ দিন বলেন, ‘রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের লড়াই থাকতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রে আমরা সবাই একসঙ্গে লড়ব।’ যন্তরমন্তরের মঞ্চ থেকেই বিরোধী মহাজোটকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ। জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ দিন আরও বলেন, ‘এই সরকারকে হটানো খুব সহজ নয়। আমাদের সবার মন পরিষ্কার না হলে চলবে না।’ তবে মোদি সরকারের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন এনসি প্রধান। ধর্নায় যোগ দেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী। সংসদ ভবনে তৃণমূলের সংসদ সদস্যদের পাশে দাঁড়িয়ে ঐক্য প্রকাশ করেছেন তিনি। অপ্রত্যাশিতভাবে হঠাৎ রাহুলকে দেখা যায় ধর্নায়। তিনি ধর্নায় যোগ দিয়ে তৃণমূল সংসদ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পরে সেখান থেকে চলে যান। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে রাহুলের এমন ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। যন্তরমন্তরে আম আদমি পার্টির (আপ) ডাকে ধর্নায় বিরোধী দলগুলো। ধর্নামঞ্চে ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মমতার সঙ্গে আরও ছিলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, চন্দ্রবাবু নাইড়–, এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, এনসির ফারুক আবদুল্লাহ, যশবন্ত সিনহার মতো নেতারা। এ ছাড়া ছিলেন লোকতান্ত্রিক জনতা দলের নেতা শারদ যাদব, সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর