বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

উ. কোরিয়া ফের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র চালু করছে

উ. কোরিয়া ফের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র চালু করছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠকের সপ্তাহখানেক সময়ও পার হয়নি। এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগ শুরু হয়েছে। যে পরমাণু প্রকল্পের জন্য দেশটির সঙ্গে আমেরিকাসহ অন্য দেশগুলোর দ্বন্দ্ব সেই প্রকল্পে নতুন করে চালু করেছে বলে বলা হচ্ছে। একটি রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার অঙ্গীকার করলেও আবার সেটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। স্যাটেলাইটে পাওয়া ছবি দেখে এমনটাই জানাচ্ছেন বিশ্লেষকরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের দুদিন পরই এই ছবিগুলো নেওয়া হয়। তংচাংরি নামের ওই এলাকাটা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে কখনোই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপ করা হয়নি সেখান থেকে। কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই শেষ হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের মধ্যকার বৈঠক। বুধ ও বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের হ্যানয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠকে বসেন দুই নেতা। তবে গতবছরে প্রথম আলোচনার পরই এই সাইটটি বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা থেমে যাওয়ায় সেই কাজটিও থেমে যায়। সেসময় এটি বন্ধ করার ঘোষণাটি দুই দেশের সুসম্পর্ক স্থাপনের প্রয়াস বলে মনে করা হচ্ছিল। এরপর যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দেয় যে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ না করলে আরও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া স্যাটেলাইট ছবি দেখে বেশ কয়েকটি মার্কিন থিংক ট্যাংক জানায়, তংচাং রির সোহাই সাইটে খুব দ্রুতই নির্মাণ কাজ চলছে। ২০১২ সাল থেকেই উত্তর কোরিয়ার প্রধান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র সোহাই। যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত আনতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ইঞ্জিনের পরীক্ষাও এই কেন্দ্রে করা হয়েছে। তবে কখনোই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়নি এখান থেকে। পর্যবেক্ষক সংস্থা ৩৮ নর্থের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেনি টাউন বলেন, এই পার্থক্যটি খুবই জরুরি। উত্তর কোরীয়রা মনে করে এই পুনঃনির্মাণ ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের কোনো অংশ না। বরং এটি বেসামরিক মহাকাশ প্রকল্পের অংশ। তবে এই পুনঃনির্মাণে চলমান আলোচনায় আস্থার অভাব দেখা দিতে পারে। গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিম ঐতিহাসিক বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি হয়। যৌথভাবে কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারে একমত হন তারা। তবে নিরস্ত্রীকরণের রূপরেখা সুনির্দিষ্ট না হওয়ায় দুদেশের মধ্যে দর কষাকষি চলছে। এ বছরের শুরু থেকে ট্রাম্প বেশ কয়েকবার কিমের সঙ্গে নতুন বৈঠকের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। উত্তর কোরীয় নেতার সঙ্গে কয়েকটি চিঠিও আদান-প্রদান হয়েছে তার। পরবর্তীতে ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনামে ট্রাম্প ও কিমের দ্বিতীয় বৈঠক হয়।

সর্বশেষ খবর