সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

ভারত ও পাকিস্তান উভয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দেয়

ভারত ও পাকিস্তান উভয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দেয়

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গত মাসে যেভাবে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে তা বেশিদূর গড়ায়নি বলে খবর। পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ দুটির উত্তেজনা কমিয়ে আনতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনও ভূমিকা রেখেছেন বলে এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পশ্চিমা কূটনীতিকসহ নয়াদিল্লি, ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনার একপর্যায়ে ভারত পাকিস্তানের দিকে অন্তত ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দিয়েছিল। এর পাল্টায় ইসলামাবাদের প্রতিক্রিয়া ছিল, নয়াদিল্লি যতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে তারাও তার ‘তিনগুণ’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে প্রতিক্রিয়া দেখাবে। হুমকি-পাল্টা হুমকির মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে চলে যাচ্ছিল এবং পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশ দুটি কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে সর্বাত্মক যুদ্ধের মধ্যে জড়িয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এগুলো হুমকির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, কিন্তু যেসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা হচ্ছিল সেগুলো প্রচলিত অস্ত্রের চেয়ে বেশি কিছু না হলেও তা ওয়াশিংটন, বেইজিং ও লন্ডনের কর্মকর্তাদের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছিল। ২০০৮ সাল-পরবর্তী দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ সামরিক সংকট ও তা নিরসনে সব কূটনৈতিক তৎপরতার উদ্যোগ একসূত্রে গেঁথে প্রতিবেদন করেছে রয়টার্স। পাকিস্তানের একজন মন্ত্রী ও ইসলামাবাদে নিযুক্ত পশ্চিমা এক কূটনীতিক নিশ্চিত করেছেন, পাকিস্তানের ভিতরে ভারত ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র মারার হুমকি দিয়েছিল। ওই মন্ত্রী বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় পাকিস্তান ও ভারতের গোয়েন্দারা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন এবং এখনো যোগাযোগ রেখে চলেছেন।’ দুদেশের মধ্যকার উত্তেজনা কমানোর ক্ষেত্রে চীন ও কয়েকটি দেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন পাকিস্তানের এ মন্ত্রী। ভারতও বলেছে, সংঘর্ষের সময় নয়াদিল্লি গুরুত্বপূর্ণ শক্তিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। মূলত ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মাসদুয়েক আগে বিমানের পাইলট আটকের ঘটনা ভারতের বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদিকে ব্যাপক চাপে ফেলে দেয়। ২৭ ফেব্র“য়ারি সন্ধ্যায় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র প্রধান অসীম মুনিরকে টেলিফোনে বলেন, পাইলট আটক হলেও ভারত ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অবস্থান ও প্রচারণা থেকে পিছিয়ে আসবে না। ভারত সরকারের একটি সূত্র ও এ কথোপকথন সম্পর্কে অবগত পশ্চিমা এক কূটনীতিক রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছে। দোভাল মুনিরকে জানান, ভারত সে সব জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধ করছে যারা পাকিস্তানের মাটি থেকে অবাধে তৎপরতা চালাচ্ছে এবং নয়াদিল্লি এ যুদ্ধ প্রস্তুতি আরও বাড়াবে।

সর্বশেষ খবর