শিরোনাম
রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

উত্তর কোরিয়া নিয়ে ফ্যাসাদে ট্রাম্প

উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং তা প্রত্যাহার করা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি টুইট বার্তা ব্যাপক বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে অবৈধ উপায়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সন্দেহে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার চীনভিত্তিক দুটি জাহাজ কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরদিন এক টুইটে ট্রাম্প জানান, তিনি উত্তর কোরিয়ার ওপর ‘অতিরিক্ত ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ তুলে নিচ্ছেন। বিবিসি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ অবস্থানকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই ধরে নেন অনেকেই; যা ঠিক নয় বলে পরে নিশ্চিত করেন কর্মকর্তারা। ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপ করা কোনো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেননি বলেও জানিয়েছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেন, প্রেসিডেন্টের টুইটে সেসব নিষেধাজ্ঞার কথাই বলা হয়েছে, যা সামনের দিনগুলোতে আরোপ করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছিল। টুইট ঘিরে এ বিভ্রান্তির পেছনে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের দ্বন্দ্বও দেখা দিয়েছে বলে ধারণা বিবিসির। হোয়াইট হাউস বলছে, উত্তর কোরিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞাকে প্রেসিডেন্ট অপ্রয়োজনীয় মনে করছেন। অন্যদিকে তাদেরই নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বৃহস্পতিবার দেওয়া নতুন নিষেধাজ্ঞাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন। ভিয়েতনামে উত্তরের শীর্ষ নেতা কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক ‘ব্যর্থ’ হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে আরও অবনতি দেখা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার কয়েক ঘণ্টা পর উত্তর কোরিয়া কায়েসংয়ে দক্ষিণের সঙ্গে তাদের লিয়াজোঁ অফিস থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। দুটি ঘটনা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শুক্রবার ট্রাম্প তার টুইটে বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার ওপর ক্রিয়াশীল নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় আজ আরও কিছু অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আজই আমি সেসব অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছি।’ ট্রাম্প শুক্রবার টুইটটি করলেও সেদিন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ পিয়ংইয়ংয়ের ওপর কোনো নতুন নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ায় অনেকেই বৃহস্পতিবারের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে গুলিয়ে ফেলে। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার দেওয়া নিষেধাজ্ঞা নয়, সম্ভাব্য অন্য নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর