রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ

কংগ্রেসে মুলারের চূড়ান্ত প্রতিবেদন এপ্রিলে

কংগ্রেসে মুলারের চূড়ান্ত প্রতিবেদন এপ্রিলে

উইলিয়াম বার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার ‘সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ’ নিয়ে স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন এপ্রিলের মাঝামাঝি মার্কিন কংগ্রেসকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। ২২ মাসের তদন্ত শেষে গত সপ্তাহে সাবেক এফবিআই পরিচালক মুলার ওই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন।

এক দিন পরই প্রতিবেদনটির চার পৃষ্ঠার সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন বার; যা নিয়ে আপত্তি তুলে ডেমোক্র্যাট সদস্যরা পুরো প্রতিবেদনটিই প্রকাশের জোর দাবি জানান।

শুক্রবার মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিনিধি পরিষদের শীর্ষ নেতা ও সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটিকে লেখা এক চিঠিতে এপ্রিলের মাঝামাঝি পুরো প্রতিবেদনটি কংগ্রেসকে দেওয়ার আশাবাদ জানান বলে খবর বিবিসির। ‘এর আগে হবে না’, মুলারের ৪০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটির সম্পাদনা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত রবিবার অ্যাটর্নি জেনারেলের সারসংক্ষেপ প্রকাশের পরদিনই কংগ্রেসনাল কমিটির ছয় ডেমোক্র্যাট প্রধান বারের কাছে লেখা এক চিঠিতে অসম্পাদিত অবস্থাতেই প্রতিবেদনটির সম্পূর্ণ অংশ ২ এপ্রিলের মধ্যে প্রকাশের দাবি জানিয়েছিলেন। ‘প্রত্যেকে শিগগিরই প্রতিবেদনটি পড়ার সুযোগ পাবেন’, কংগ্রেসনাল কমিটির প্রধানদের কাছে লেখা চিঠিতে বার এমনটাই লিখেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। মুলারের তদন্ত প্রতিবেদনের আইনগত যেসব সংবেদনশীল উপাদান আছে, তারই সম্পাদনা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। স্পেশাল কাউন্সেলের এ প্রতিবেদনে ২০১৬-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান শিবির ও মস্কোর মধ্যে ‘আঁতাতের’ প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে সারসংক্ষেপেই উল্লেখ করেছিলেন বার। এ ‘সম্ভাব্য আঁতাত’ নিয়ে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইর তদন্তে ট্রাম্প বাধা সৃষ্টি করেছিলেন কিনা, মুলারের তা খতিয়ে দেখার কথা থাকলেও এ বিষয়ে তার প্রতিবেদনে সুস্পষ্ট জবাব পাওয়া যায়নি। বারের প্রকাশিত সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, মুলারের প্রতিবেদনে এমন কোনো প্রমাণের উল্লেখ নেই, যা দিয়ে তদন্তে বাধা সৃষ্টির অপরাধে প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করা যেতে পারে। ২২ মাসের এ তদন্তের মধ্যেই সাবেক এফবিআই পরিচালক মুলার ও তার দল ট্রাম্পের সাবেক ছয় সহযোগী ও একাধিক রুশ নাগরিকসহ ৩৪ জনের জালিয়াতি, কর ফাঁকি, মুদ্রা পাচার, মিথ্যা বলাসহ বিভিন্ন অপরাধ উন্মোচিত করেছেন। যদিও এর কোনোটিই ‘মস্কো-ট্রাম্প আঁতাতের’ সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

সর্বশেষ খবর