বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আমেথিতে মনোনয়ন জমা দিলেন রাহুল সঙ্গী সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কা

আমেথিতে মনোনয়ন জমা দিলেন রাহুল সঙ্গী সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কা

কেরালার ওয়েনাডের পর এবার উত্তরপ্রদেশের আমেথি। গতকাল দ্বিতীয় মনোনয়নপত্র জমা দিলেন রাহুল গান্ধী। মনোনয়নের আগে আমেথির সদর শহর গৌরীগঞ্জে রোড শো করেন কংগ্রেস সভাপতি। সঙ্গে ছিলেন মা সোনিয়া গান্ধী। এছাড়া বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তার ছেলে রায়হান এবং মেয়ে মিরায়াকে নিয়ে  রোড শো-তে অংশ নেন। মনোনয়ন ঘিরে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উন্মাদনা। ২০০৪ সাল থেকে আমেথিতে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য রাহুল। এবারও যে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন রাহুল, তাতে কোনো চমক ছিল না। যেটা ছিল ওয়েনাড কেন্দ্রে তার প্রার্থী হওয়া। গত সপ্তাহেই ওয়েনাডে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। সেখানেও মনোনয়নের আগে বিশাল রোড শো করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা-রাহুল। আর গতকাল কার্যত গোটা পরিবারই মনোনয়ন পর্বে হাজির ছিলেন। গৌরীগঞ্জে হুড খোলা গাড়িতে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার রোড শো-য়ে এদিন শুরু থেকেই ছিল ব্যাপক জনসমাগম। সঙ্গে ছিল কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের বিশাল মিছিল। এ ছাড়া রাস্তার দুই পাশে বাড়ি থেকেও ফুল ছুড়ে রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানান বহু মানুষ। তবে ওই গাড়িতে ছিলেন না সোনিয়া গান্ধী। পরে জেলা প্রশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় রাহুল-প্রিয়ঙ্কা-রবার্টের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। ২০১৪ সালে রাহুলের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছিল স্মৃতি ইরানিকে। প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ভোটে হেরেছিলেন স্মৃতি।

পরে অবশ্য তাকে রাজ্যসভার সংসদ সদস্য করে বিজেপি। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এবারও রাহুলের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী স্মৃতিই। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে এবার জোট করে লড়ছে বহুজন সমাজ পার্টি এবং সমাজবাদী পার্টি। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা  তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে মায়াবতী-অখিলেশের জোট আমেথি কেন্দ্রে প্রার্থীও দেয়নি। ফলে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রাহুল-স্মৃতির মুখোমুখি লড়াই। স্মৃতি মনোনয়ন জমা দেবেন আজ। হিন্দিবলয়ে কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি উত্তরপ্রদেশের আমেথি। কংগ্রেসের পারিবারিক কেন্দ্রও বলা যায়। ১৯৮০ সালে এই কেন্দ্রে ভোটে জিতে নেহেরু গান্ধী পরিবারের প্রথম সদস্য সঞ্জয় গান্ধী সংসদ সদস্য হন। তবে ওই বছরই বিমান দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হলে পরের বছর উপনির্বাচনে জয়ী হন বড় ভাই রাজীব গান্ধী। ১৯৯১ সালে নিহত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি টানা সংসদ সদস্য ছিলেন এই কেন্দ্র থেকেই। মাঝে ৮ বছর বাদ দিয়ে ১৯৯৯ সালে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হন সোনিয়া গান্ধী। পর পর দুইবার সংসদ সদস্য থাকার পর ছেলে রাহুলের জন্য ওই কেন্দ্র ছেড়ে দেন এবং নিজে প্রার্থী হন রায়বরেলি থেকে। তারপর থেকেই এই আসন থেকে জিতে আসছেন রাহুল।

সর্বশেষ খবর