শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

মোদির পর এবার মমতার বায়োপিক বিতর্ক

মোদির পর এবার মমতার বায়োপিক বিতর্ক

ভোটের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনী-ছবি নিয়ে আপত্তি তুলেছিল খোদ নির্বাচন কমিশন। এবার একই আপত্তি বিরোধীদের, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির জীবন অনুপ্রাণিত একটি ছবি নিয়ে?

ছবির নাম ‘বাঘিনী’?একজন সাধারণ মেয়ের অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প। যে মেয়ে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু করে ক্রমশ একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রী হয়ে উঠেছে। অনেক বিরোধিতার মোকাবিলা করে  শেষ পর্যন্ত সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে উঠছে?কাউকে বলে দিতে হয় না, এ আসলে কার জীবন? যদিও বাঘিনীর কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম মমতা নয়, ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়? ছবির শুরুতে বিধিবদ্ধ ‘ডিসক্লেমার’? অবশ্য দেওয়া আছে, যেমন থাকে, যে এই ছবির ঘটনা এবং চরিত্রের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। আর বাঘিনী ছবিটি তৈরির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরা সবাই বলছেন এই ছবি তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সংগ্রামী জীবন থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছে? কিন্তু ‘বাঘিনী’?মমতা ব্যানার্জির বায়োপিক বা জীবনী-ছবি নয়? কিন্তু রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক উলটো কথাই বলছে, বিশেষ করে বিজেপি। তাদের কথা, নাম যাই হোক, এটি আসলে মমতা ব্যানার্জিরই বায়োপিক এবং একই যুক্তিতে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বায়োপিক সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ আটকে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন, এই বাঘিনীকেও আপাতত খাঁচাবন্দী রাখা হোক? উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচন কমিশন এই যুক্তিতে নরেন্দ্র মোদির জীবনী-ছবিটি আটকে দিয়েছে, যে ভোটের সময় এই ছবির প্রদর্শনী শুরু হলে প্রকারান্তরে নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের প্রচার হবে, নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পর যা বাঞ্ছনীয় নয়? ছবির প্রযোজকরা কমিশনের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাওয়ার পর কমিশন আদালতে হলফনামা দিয়ে সেই কথাই বলেছে এবং এক্ষেত্রে আদালত কার্যত নির্বাচন কমিশনের এ সংক্রান্ত ক্ষমতাকেই মান্যতা দিয়েছে যে, ভেবেচিন্তে কমিশনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিক। বাঘিনী ছবিটির ক্ষেত্রে বিষয়টি যদিও এখনো আদালত পর্যন্ত গড়ায়নি বা নির্বাচন কমিশনও এ ছবির প্রযোজকদের কোনো নির্দেশ পাঠায়নি, কিন্তু আগামী ৩ মের নির্ধারিত দিনে ছবিটি মুক্তি পাবে কি না, সে নিয়ে ধন্দে আছেন বাঘিনীর প্রযোজক পিংকি পাল? মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও সম্প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছেন, বাঘিনী ছবিটি তাঁর বায়োপিক হিসেবে সর্বত্র উল্লিখিত হচ্ছে বলে? তিনি এমনও বলেছেন যে, ‘আমাকে মানহানির মামলা করতে বাধ্য করবেন না?ওটা আমার বায়োপিক নয়?‘প্রযোজক এবং এই ছবির চিত্রনাট্যকার পিংকি পালও ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘আমরা আগেও বলেছিলাম যে আমরা একটা অনুপ্রাণিত ছবি বানিয়েছি। যে তথ্যগুলো সাধারণভাবে পাওয়া যায়, অতীতে কী হয়েছে, সে সম্পর্কে?এর সঙ্গে ভবিষ্যতে কী হবে বা বর্তমানে কী হচ্ছে, তাঁর  কোনো সংযোগই নেই।’

সর্বশেষ খবর