শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

গোপনীয়তা আইনে বন্দী মিয়ানমারের বাকস্বাধীনতা

দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে মিয়ানমারে রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের সাজা বাতিলের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির উচ্চ আদালত।  আর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছেন ওই দুই সাংবাদিক। মিয়ারমারের আদালত রায়ে বলেছে, এই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দেশটির দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে? ২০১২ সালের নির্বাচনের পর ধারণা করা হয়েছিল কয়েক দশক ধরে সামরিক শাসনের অধীনে থাকা মিয়ানমারে ধীরে ধীরে গণতন্ত্র বিকশিত হয়ে উঠবে?সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই দুই সাংবাদিকের আপিলের বিষয়ে দেশটির উচ্চ আদালতের রায় মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে?

কী করেছিলেন দুই সাংবাদিক : ওয়া লন (৩৩) ও কিয়াউ সোয়ি উ (২৯) নামে মিয়ানমারের নাগরিক ও রয়টার্সের প্রতিনিধি ২০১৭ সালে  দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতনের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন?গোপনে রাষ্ট্রীয় তথ্য সংগ্রহের দাবি করে মিয়ানমার সরকার সে বছর ডিসেম্বর মাসে তাঁদের আটক করে?পরে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে স্থানীয় এক আদালত দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তাঁদেরকে সাত বছরের কারাদ- দেয়। এদিকে উচ্চ আদালতের রায়ের পর দেশটির জনগণের বাকস্বাধীনতা বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। রায়ের পর এক বিবৃতিতে রয়টার্সের প্রধান উপদেষ্টা গাইল গোভে বলেন, ‘ওয়া লন ও কিয়াউ সোয়ি উ কোনো অন্যায় করেননি বা তাঁরা কোনো অন্যায় করেছেন এমন প্রমাণ নেই। মূলত সত্য প্রকাশে তাঁদের মুখ বন্ধ করার জন্য পুলিশ ঘটনাটিকে এমন রূপ দিয়েছে’ তবে তাঁদের মুক্ত করতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি?

নিপীড়নমূলক আইন ও সাংবাদিকতা : মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম কিছুটা বৈচিত্রপূর্ণ হলেও দেশটিতে বিভিন্ন সময়ে প্রণীত আইনকানুনে আটকে থেকেই পেশাগত কাজ চালিয়ে যেতে হয় সাংবাদিকদের। ‘ইউরোপিয়ান জার্নালিজম সেন্টারের এক প্রতিবেদন বলছে, মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যমকে দেশটির সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিয়তি চাপের মুখে থাকতে হয়?

সর্বশেষ খবর