বুধবার, ৮ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

এরদোগানের দল হেরেছে তাই আবার নির্বাচন

এরদোগানের দল হেরেছে তাই আবার নির্বাচন

গত মার্চে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের স্থানীয় নির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থীকে অল্প ব্যবধানে হারিয়ে চমক দেখায় বিরোধী দল। এই অল্প ব্যবধানের বিষয়টি সামনে এনে নির্বাচনে ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির’ অভিযোগ তোলে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি)। সরকারি দলের এমন অভিযোগকে আমলে নিয়ে ইস্তাম্বুলে পুনর্র্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৩ জুন তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহরটিতে পুনরায় ভোট হবে। ফের ভোট নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়েছে তুরস্কের নির্বাচন কমিশন। সোমবার শহরটির বেশকিছু এলাকায় হাজার হাজার বাসিন্দা রাস্তায় নেমে, বিভিন্ন পাত্র ও হাঁড়ি-পাতিল বাজিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন সিএইচপির ইমামোগলু। পুনর্নির্বাচনের এ ঘোষণার ফলে তুরস্কের গণতান্ত্রিক নির্বাচনব্যবস্থা বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে পারে বলে সতর্ক করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। তবে তুরঙ্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। ৩১ মার্চ তুরস্কজুড়ে হওয়া স্থানীয় নির্বাচনগুলোয় একেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট ৫১ শতাংশ ভোট পেলেও রাজধানী আঙ্কারা, ইজমির ও ইস্তাম্বুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো ধর্মনিরপেক্ষ সিএইচপির কাছে হাতছাড়া হয়ে যায়। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোগানও একসময় ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন। গেল নির্বাচনে ৮০ লাখ ভোট পড়েছিল এবং সিএইচপির ইমামোগলুকে ১৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। ক্ষমতাসীনরা এ আপত্তির মাধ্যমে নির্বাচনের ফল ‘চুরি করে নিয়ে যাওয়ার’ চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। নির্বাচন কমিশনে একেপির প্রতিনিধি রিসেপ ওজিল জানান, মার্চের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের কেউ কেউ সরকারি কর্মকর্তা না হওয়ায় এবং ফলাফলের কিছু কাগজে স্বাক্ষর না থাকায় ফের ভোট নেওয়ার এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্যদিকে সিএইচপির সহকারী চেয়ারপারসন ওনুরসাল আদিগুজেল বলেছেন, পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত এটাই দেখাচ্ছে যে ‘একেপির বিরুদ্ধে জেতা অবৈধ’।

সর্বশেষ খবর