শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

পদত্যাগ করছেন তেরেসা মে

পদত্যাগ করছেন তেরেসা মে

তেরেসা মে

ব্রেক্সিট নিয়ে এরই মধ্যে তিনবার ভোটে হেরেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। আগামী জুনের প্রথম সপ্তাহে এই ইস্যুতে আবারও ভোট হবে। ওই ভোটে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা সফল না হলে পদত্যাগ করতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। এরপর প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনের সময়সীমা জানিয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সূত্র : অনলাইন। ব্রেক্সিট ইস্যুতে প্রবল চাপের মুখে এই ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। টোরি এমপিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মের এক বৈঠকের পরই এ বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন তিনি। খবরে বলা হয়, অনেক দিন ধরেই ডাউনিং স্ট্রিট থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে আসছেন ওই এমপিরা। ব্রেক্সিট ইস্যুতে এবারও হেরে  গেলে তেরেসা মে পদত্যাগ করবেন। এদিকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, তেরেসা মে পদত্যাগ করার পর তিনি নির্বাচনে লড়বেন। প্রসঙ্গত, গত বছর শেষের দিকে একটি আস্থা ভোটে তেরেসা  মের দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের ভোটে কোনো রকমে উতরে গিয়েছিলেন তিনি। সামান্য ভোটের ব্যবধানে তিনি জয়ী হয়েছিলেন। ডিসেম্বরের আগে নতুন করে আনুষ্ঠানিকভাবে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মে। এদিকে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, তেরেসা মে সরে গেলে প্রধানমন্ত্রী পদে তিনি প্রার্থিতা করবেন। এর আগে ২০১৬ সালের জুনে গণভোটের পর প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থিতা থেকে নাটকীয়ভাবে নিজেকে সরিয়ে নেন বরিস জনসন। তেরেসা মে নতুন প্রধানমন্ত্রী হন, বরিস জনসনকে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেন। সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুয়েনসবার্গ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট পরিকল্পনা এমপিরা যদি চতুর্থবারের মতো প্রত্যাখ্যান করেন, মের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ‘অবিশ্বাস্য’ হবে। গত বছরের শেষে কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বের প্রশ্নে আস্থা ভোটে টিকে যান তেরেসা মে। ওই ভোটাভুটিতে তার পক্ষে পড়েছে ২০০ ভোট, আর বিপক্ষে ১১৭। আস্থা ভোটে  তেরেসা মে জিতেছেন ৮৩ ভোটে, যার অর্থ ৬৩ শতাংশ কনজারভেটিভ এমপি ছিলেন তার পক্ষে আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৭ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়নি মে কে। এরপরও ব্যাপক চাপে ছিলেন মে। গত জানুয়ারিতে তার সম্পাদিত ব্রেক্সিট চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেন দেশটির আইনপ্রণেতারা।

এতে বড় ধরনের ধাক্কা খায় তার সরকার। ব্রেক্সিট চুক্তি পাসে ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নিয়ে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন তাৎক্ষণিকভাবে তেরেসা মের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর