মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

জার্মানি জোট সরকার ভাঙনের মুখে?

নির্বাচনে ব্যর্থতা ও অভ্যন্তরীণ সংকটের জেরে জার্মানি জোট সরকারের দুই শরিক দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় বাড়ছে ?এসপিডি দলের নেতা নালেস পদত্যাগের ঘোষণা করায় সেই আশঙ্কা আরও প্রকট হচ্ছে। জার্মানি মহাজোট সরকারের দুই শরিক দলের দিনকাল ভালো যাচ্ছে না। এক সপ্তাহ আগে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলের ইউনিয়ন শিবির অত্যন্ত খারাপ ফল করেছে। একের পর এক নির্বাচনে জোটসঙ্গী এসপিডি দলের ভরাডুবির প্রবণতাও অব্যাহত রয়েছে। একদিকে জনসমর্থনে ভাটা, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ডুবে যাচ্ছে জার্মানির প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। এ অবস্থায় জোট সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় বাড়ছে। ২০১৭ সালের নির্বাচনের পর দীর্ঘ আলোচনা শেষে এ সরকার গঠিত হয়েছিল। সম্প্রতি সামাজিক গণতন্ত্রী দলের আন্দ্রেয়া নালেস দলের সভাপতি ও সংসদীয় দলের নেতার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেন। মাত্র ১৩ মাস এ দায়িত্ব সামলানোর পর প্রবল চাপের মুখে তাকে বিদায় নিতে হচ্ছে। তার ঠিক আগে যারা এ দায়িত্বে ছিলেন, তাদেরও নেতৃত্ব ক্ষণস্থায়ী ছিল। কঠিন এ পরিস্থিতিতে কে দলের হাল ধরতে প্রস্তুত, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এসপিডি দলের, বিশেষ করে বামপন্থি অংশ শুরু থেকেই মহাজোট সরকারে যোগদানের বিরোধী। ফলে দলের পুনর্জাগরণের স্বার্থে সরকার ত্যাগ করার জন্য চাপ বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে। গতকাল দলের নেতারা জরুরি বৈঠকে বসছেন। চ্যান্সেলর মেরকলের সিডিইউ দলের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিও ভালো নয়। দলের নতুন সভাপতি আনেগ্রেট ক্রাম্প-কারেনবাউয়ার একের পর এক ব্যর্থতার ফলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

মেরকেলের বিদায় নিলে তিনি আদৌ চ্যান্সেলর পদের যোগ্য কিনা, নতুন করে সেই প্রশ্ন উঠে আসছে ? মেরকেলের দলের সভাপতির দায়িত্ব ছাড়ার সময়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চতুর্থ কার্যকালই হবে চ্যান্সেলর হিসেবে সরে তার  শেষ মেয়াদ। এমন প্রেক্ষাপটে দলে নেতৃত্বের সংকট আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। গত সপ্তাহের ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে সবুজ দলের অভাবনীয় উত্থানও সরকারি জোটের দুই দলের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে পরিবেশ সংক্রান্ত নীতির ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা শোনা যাচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর